বছরে ১৭ কোটি টাকার আম বিক্রি

ঘোড়াঘাটে শেষ মুহুর্তে জমে উঠেছে বেচাঁকেনা

এফএনএস (মোখলেছুর রহমান সওদাগর; ঘোড়াঘাট, দিনাজপুর) : | প্রকাশ: ৮ জুলাই, ২০২৫, ০১:৩৪ পিএম
ঘোড়াঘাটে শেষ মুহুর্তে জমে উঠেছে বেচাঁকেনা

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট আমের জন্য দিন দিন  বিখ্যাত উঠছে। এখানকার আম আশেপাশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় ব্যপক চাহিদা বেড়েছে। মিশ্রিভোগ,হাড়িভাঙ্গা,আম্রপালীসহ বিভিন্ন জাতের ্আম সুমিষ্ট হওয়ার কারনে দিন দিন বেড়েই চলেছে ঘোড়াঘাটের আমের কদর। ঘোড়াঘাট কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরে কর্মরত কৃষিবিদ রফিকুজ্জামান জানান, এ বছরে  ঘোড়াঘাট উপজেলায় ২৩৯ হেক্টর জমিতে আমের ফলন হয়েছে ৩ হাজার ৯শত মেট্রিক টন। প্রায় ১৭ কোটি টাকার আম বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি জানান। উপজেলার দীর্ঘ ৪০ বছরের পুরাতন আমের বাজার ঘোড়াঘাট থানা রোডে। এখানে ভোর ৬টা থেকে আম বেচাকেনা শুরু হয়,চলে সকাল ৯টা পর্যন্ত। বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে আম ক্রয় করার জন্য ব্যপারীরা এই বাজারে আসে। এর মধ্যে জয়পুরহাট,কালাই,পাঁচবিবি,গাইবান্ধারগোবিন্দগঞ্জ,সাঘাটা,ফুলছরি,সাদুল্যাপুর,কামদিয়া, পলাশবাড়ীসহ আশেপেশের বিভিন্ন চর এলাকা থেকে আম ক্রয় করতে আসে। আম বাজার ডেকে নেওয়া ইজারাদার মশিউর রহমান জানান, এখানে প্রতিদিন প্রায় ৫/৬ লক্ষ টাকার আম বিক্রি হয়। জৈষ্ঠের মাঝামাঝি থেকে একটানা আষাঢ় মাস পর্যন্ত চলে এই বাজার। একজন আম চাষী সোহেল রানা জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর আমের বাজারে ধস নেমেছে। গত বছর মিশ্রি ও হাড়িভাংগা বিক্রি হয়েছে ১৬শ থেকে ২হাজার টাকা পর্যন্ত। এবারে সেই আম প্রতি মন বিক্রি করতে হচ্ছে ৭ থেকে ৮শত টাকা। আমের বাজার ধসের কারন উল্লেখ করে মওলানা শাহারুল ইসলাম জানান,অসাধু আম চাষীরা আমে কার্বাইড (বিষ) মিশানোর ফলে আমের চাহিদা কমে গেছে। তা ছাড়া লোকজনের মধ্যে  সচেতনতা বেড়েছে বাড়ীর ফাঁকা জায়গায় আম গাছ রোপন করে নিরাপদ ও বিষমুক্ত আম খেতে পারছেন। আমে কার্বাইড মিশিয়ে বাজারজাত করা হচ্ছে এ ব্যপারে ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল ইসলামের দৃষ্টি আকর্ষন করলে তিনি ভোক্তাাধিকারের উপর দায় চাপিয়ে  বলেন,জনবলের অভাব ও বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার অভাবে আম বাজার মনিটরিং সম্ভব হচ্ছে না। এ ছাড়াও তিনি বলেন সহনশীল পর্যায়ে কার্বাইড মিশালে মানব দেহের ক্ষতির প্রভাব পরবে না।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে