খুলনায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে পুলিশ কমিশনারের সংবাদ সম্মেলন

এফএনএস (এম এ আজিম; খুলনা) : | প্রকাশ: ৮ জুলাই, ২০২৫, ০৪:২৫ পিএম
খুলনায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে পুলিশ কমিশনারের সংবাদ সম্মেলন

নগরীর সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) আয়োজনে এক সংবাদ সম্মেলন আজ মঙ্গলবার দুপুরে কেএমপির সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। কেএমপি কমিশনার মোঃ জুলফিকার আলী হায়দার সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। 

এ সময় পুলিশ কমিশনার জানান, বিগত ১০ মাসে মেট্রোপলিটন এলাকায় ২৬টি হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে দুটি লাশ নদীতে ভেসে আসায় ঐদুটি হত্যাকান্ডের মামলা নৌ পুলিশ তদন্ত করছে। বাকি ২৪ টির মধ্যে ২২টি হত্যার পেছনের ঘটনা মেট্রোপলিটন পুলিশ তদন্তের মাধ্যমে উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছে এবং আসামীদের আটক করা হয়েছে। বাকি দুইটি মামলা তদন্তাধীন রয়েছে, তবে তদন্তকাজে অগ্রগতি আছে। 

তিনি জানান, মাদকের কারণে আমাদের তরুণ প্রজন্মের ভবিষ্যৎ নষ্ট হচ্ছে। মাদকের বিক্রেতা, বাহক ও যারা খুলনার বাইরে থেকে মাদক নিয়ে আসে তাদের ওপর পুলিশের নজরদারি অব্যাহত আছে। গত সপ্তাহে হরিণটানা থানা এলাকা থেকে ১৯ হাজার পিস ইয়াবা আটক করা হয়েছে। এছাড়াও নিয়মিত অভিযানে মাদকদ্রব্য উদ্ধার হচ্ছে। 

তিনি বলেন, স্কুল-কলেজ পড়ুয়া আমাদের সন্তানদের সন্ধ্যায় পড়ার টেবিলে ফিরিয়ে আনতে হবে। তারা যেন সন্ধ্যার পরে ঘরের বাইরে অযথা আড্ডা না দেয়, সেদিকে অভিভাবক-সহ সকলকে নজর দিতে হবে।

পুলিশ কমিশনার আরও জানান, খুলনা শহরে প্রায় ২০ থেকে ২২ হাজার ইজিবাইক চলাচল করে। ধারণা করা হয়, এর প্রায় ৬০ শতাংশ প্রতিদিন বাইরে থেকে শহরে প্রবেশ করে। ইজিবাইক চালকরা ট্রাফিক আইন সম্পর্কে সচেতন না হওয়ায় যানজটের কারণ হয়ে ওঠে। কেএমপির উদ্যোগে এ পর্যন্ত সাড়ে ছয় হাজার  ইজিবাইক চালককে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। বাকিদের তিন থেকে চার মাসের মধ্যে প্রশিক্ষণ দেয়া সম্ভব হবে। এছাড়া খুলনার সব ইজিবাইককে দুই রঙে বিভক্ত করে রঙ অনুযায়ী একদিন বাদে একদিন চলাচলের ব্যবস্থা করা বিষয়ে ভেবে দেখা যেতে পারে।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মোহাম্মদ রাশিদুল ইসলাম খান, উপপুলিশ কমিশনার (উত্তর) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, উপপুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোঃ আবু তারেক, উপপুলিশ কমিশনার (সিটিএসবি) আবুল বাশার মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, উপপুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) সুদর্শন কুমার রায়সহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে