ভালুকা উপজেলার ভরাডোবা ইউনিয়নের কয়েকটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের দুষিতবর্জ্য ও রংঙ্গের পচাপানি খালে বিলে ও ফসলের জমিতে ছেড়ে দেয়ায় কয়েক শত একর জমিতে দীর্ঘ দিন ধরে বোরোধানসহ ফসলের আবাদ বন্ধ রয়েছে। কারখানার দূষিত শিল্পবর্জ্যে এলাকার পরিবেশ ও প্রতিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তিন ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষরা এক্সপেরিয়েন্স টেক্সটাইল ও মুলতাজিম স্পিনিং মিলের নিকট ক্ষতিপুরন চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট অভিযোগ দেয়া হয়।
বুধবার (০৯ জুলাই) বিকালে ভালুকা উপজেলা পরিষদ হলরুমে এর শুনানী অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এলাকার পরিবেশ প্রতিবেশ রক্ষা এবং কারখানার দূষিত বর্জ্যে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদেরকে যৌক্তিক ক্ষতিপূরণ দেয়াসহ পাঁচ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ওই যৌথ শুনানিতে উপজেলা প্রশাসন, কৃষি বিভাগ এবং মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, কারখানা প্রতিনিধি, কৃষক ও স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন। শুনানি শেষে পাঁচদফা সীদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। কারখানার ইটিপি সার্বক্ষণিক চালু রাখা ও আশপাশের পরিবেশ ও প্রতিবেশের সব ধরনের দূষণ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তর, উপজেলা প্রশাসন, কৃষি ও মৎস্য অধিদপ্তর যৌথভাবে ফসলি জমি পরিদর্শন করে কারখানা কর্তৃপক্ষকে জানানো পর ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদেরকে যৌক্তিক পরিমাণ ক্ষতি পূরণ প্রদান করা কথা জানানো হয়েছে।
কৃষি অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী জানাযায়,উপজেলার ভরাডোবা, বিরুনীয়া ও ধীতপুর ইউনিয়নের উত্তরহাইরা,দক্ষিনহাইরা, মলেনজা,জাবরা, কেচুরঘুনা,সহ বেশ কয়েক টি বিলে শিল্পের বর্জ্য ও রংঙ্গের পচা পানি গিয়ে কয়েক শত একর ধানী জমি দীর্ঘ যাবৎ
অনাবাদি রয়েছে। জমি রক্ষায় কৃষকরা আনন্দোলন সংগ্রাম করে ব্যর্থ হয়েছে । এ নিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর স্থানী প্রসাশন ও কৃষকদের মাঝে অনেক দেন দরবার হয়েছে কোন কাজ হয়নি। কৃষকরা জমি চাষ না করার ফলে বছরে কয়েক হাজার টন ধান উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।
কৃষকরা জানান কয়েক শত একর ধানী জমি ১৫ বছর ধরে পতিত পড়ে রয়েছে। জমি থেকে ধান উৎপাদন করে সংসার চালিয়ে বিক্রি করতো এখন তাদের সারা বছর চাল কিনে সংসার চালাতে হচ্ছে। জমি থাকার সত্বেও তারা অতি কষ্টে জীবনযাপন করছে। জমিতে কচুরী পানা হয়ে অন্ধা বিলের পরিনত হয়েছে।,বিগত আ,লীগ সরকারের আমলে কৃষি জমি রক্ষায় অনেক আনন্দোলন সংগ্রাম করা হয়েছে। কিন্তু আ,লীগের নেতারা ফ্যাক্টরীর মালিকদের কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে কৃষকদের হামলা মামলা দিয়ে দমন করেছে। এখন কোন রাজনৈতিক সরকার নেই, তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট ক্ষতি পুরন চেয়ে আবেদন করেছি। আবেদনের ফলে আজকে গনশুনানী হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জানান, শুনানিতে গৃহীত পদক্ষেপ সমুহের পর্যালোচনা আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। কমিটি করে দেয়া হয়েছে। ওই কমিটি ক্ষতির পরিমান নির্ধারন করে জমা দিলে কারখানার মালিকদের সাথে বসে কৃষকদের ক্ষতিপুরন দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।