ঢাকা ও খুলনায় নৃশংস কায়দায় হত্যাকাণ্ডের বিচার এবং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট।
শুক্রবার (১১ জুলাই) রাত সাড়ে আটটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে আয়োজিত সমাবেশ থেকে তারা এ দাবি জানান। এর আগে পরিবহন চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে এক সমাবেশে মিলিত হন।
সমাবেশে ছাত্র গণমঞ্চের আহ্বায়ক নাসিম সরকার বলেন, “২৪ পরবর্তী বাংলায় আমরা যে অবস্থার সম্মুখীন হয়েছি তার দায়ভার সম্পূর্ণ প্রশাসন ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের। কোন অদৃশ্য ছায়ায় বিনএনপি ও জামাত এই কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছে তা আমরা জানিনা। অপরাধী যেই হোক, দ্রুত শাস্তির আওতায় আনতে হবে।”
ছাত্র ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ কায়সার আহমেদ বলেন, “আজকের মতো বিচারহীনতা আমরা হাসিনার আমলেও দেখেছি। কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছ থেকেও এই বিচারহীনতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এমন নির্মমতা কোনো সভ্য দেশের হতে পারেনা। আমরা এই সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করছি।”
সমাপনী বক্তব্যে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের আহ্বায়ক ফুয়াদ রাতুল বলেন, “৫ ই আগস্টের পরে আওয়ামী লীগের চাঁদাবাজির জায়গাটা নিয়েছে আরেকটি সংগঠন। মৌলবাদী একটি গোষ্ঠী আবার মবতন্ত্র কায়েম করে মাজার ভাঙা, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে। অন্তবর্তীকালীন সরকার তাদের ইন্ধন দিয়েছে। এই সরকারের ব্যর্থতার ফল হচ্ছে খুলনা এবং ঢাকার নির্মম হত্যাকাণ্ড। এই স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে দেখলে আমার হাসিনার কথা মনে পড়ে। হাসিনার মতোই নির্লজ্জভাবে উনিও গদি আঁকড়ে বসে আছেন। আজকের এই সমাবেশ থেকে আমরা স্পষ্টভাবে এসবের দায় স্বীকার করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করছি।”
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলনের আহ্বায়ক তারেক আশরাফ, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক রিসার্চ চাকমা, বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর সাংগঠনিক সম্পাদক শাহরিয়ার আলিফ, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শামীন ত্রিপুরা এবং বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর সদস্য আল আশরাফ রাফি।