নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলার উন্নতি করবে সরকার : উপ-প্রেস সচিব

এম এম মামুন; রাজশাহী | প্রকাশ: ১২ জুলাই, ২০২৫, ০২:৩৪ পিএম
নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলার উন্নতি  করবে সরকার : উপ-প্রেস সচিব
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেছেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটবে। নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতির বিকল্প নেই। নির্বাচনের আগে যেকোনো মূল্যে পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটানো হবে। অপরাধ করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’ শনিবার (১২ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সভাকক্ষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং-এর সাথে সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও সুধীজনের মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন। আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকার যখন দায়িত্ব নেয়, তখন পরিস্থিতি বিশৃঙ্খল ছিল। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি উন্নতিতে সরকার আপ্রাণ চেষ্টা করছে। সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছে। মিটফোর্ডে খুনের ঘটনায় দ্রুত সময়ে পুলিশ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। আমাদের বিশ্বাস, পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে। আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করা আমাদের উদ্দেশ্য। ভোট দিয়ে মানুষ যাতে ভাল অনুভব করেন, সেই চেষ্টা করা হচ্ছে।’ তিনি বলেন, নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহকালে বিগত সময়ে সাংবাদিকরা যে ধরনের সমস্যায় পড়তেন, এবার সেই সমস্যায় পড়তে হবে না। আপনারা কোনো হয়রানির শিকার হবেন না। নির্বাচনী আচরণবিধি থাকে, এবারও থাকবে। আপনারা সেটা ফলো করবেন। এরপরও বাধার সৃষ্টি হলে একজন অফিসারকে ডেজিগনেট করে দেওয়া হবে, তিনি কথা বলে বাধাবিপত্তি দূর করতে কাজ করবেন।’ উপ-প্রেস সচিব আরো বলেন, ‘সরকার সব পদক্ষেপ নেবে। সরকারের কারও প্রতি কোনো রাগ অনুরাগ নেই। সাংবাদিকরা কোনো রাজনৈতিক দলের দ্বারা যেন হয়রানির শিকার না হন, সেটা দেখা হবে। এবার প্রশাসন নিরপেক্ষ থাকবে। আপনারা প্রশাসনকে জানাবেন, অনিয়ম দেখলে দ্বিধাহীন চিত্তে রিপোর্ট করবেন। আমরা বিশ্বাস করি, সমস্যাগুলো দ্রুত কেটে যাবে।’ তিনি বলেন, ‘গত এক বছরে গণমাধ্যম সূচকে ১৬ ধাপ অগ্রগতি হয়েছে। হয়রানি আইনের ক্ষেত্রে গত ৫ বছরে ডিজিটাল সিকিউরিটি এ্যাক্ট করে হয়রানি করা হয়েছিল। সেটা বাতিল করা হয়েছে। নতুন বোতলে পুরনো মদ সাইবার সিকিউরিটি এ্যাক্ট করেছিল, সেটাও বাতিল করা হয়েছে। সাংবাদিকের নামে হওয়া হয়রানিমূলক মামলাগুলোও প্রত্যাহার করা হয়েছে। বন্ধ গণমাধ্যম দু’একটি প্রকাশ হতে শুরু হয়েছে। টেলিভিশন চ্যানেলগুলো সম্প্রচারে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কোনো চ্যানেল বন্ধ হয় নাই, বরং চালু হচ্ছে। এখন সাংবাদিকরা হয়রানির শিকার হয় না। সাংবাদিকতা করার কারণে কোনো মামলা হয়রানি হয় নাই।’ এ সভায় প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ এবং প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা, জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আপনার জেলার সংবাদ পড়তে