কাউখালীতে সড়কের বেহাল দশায় জনজীবন চলাচলের দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলা সদরের দক্ষিণ বাজারের টলসেট থেকে চালপোটটি হয়ে খেয়াঘাট পর্যন্ত প্রায় আধা কিলোমিটার রাস্তার বেহালদশা। বর্তমানে রাস্তাটি চলাচলে সম্পূর্ণ অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এই খেয়া ঘাটের রাস্তার দিয়ে উপজেলার সয়না রঘুনাথপুর ইউনিয়নের ধাবরী, বান্দাকান্দা, সয়না, মেঘপাল, রঘুনাথপুর গ্রামের জনসাধারণের কাউখালী বাজারের আসার অন্যতম সহজ রাস্তা। এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন শত শত মানুষ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ চলাচল করে। অথচ এ রাস্তাটি দীর্ঘদিন যাবত সংস্কারের অভাবে চলাচলে সম্পন্ন অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বৃষ্টির সময় রাস্তার উপরে পানি থৈ থৈ করে। পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা না থাকায় রাস্তার দুই পাশের প্রায় ৫০ টি বিভিন্ন ধরনের দোকানে পানি উঠে। ফলে ব্যবসায়ীদের অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। দোকানদাররা জানান, বৃষ্টির সময় তাদের দোকানপাট বন্ধ থাকে। কোন ক্রেতা বিক্রেতা এই সড়ক দিয়ে চলাচল করে না। ফলে আমরা অসহায় হয়ে পড়ি। ব্যবসা-বাণিজ্য করতে না পেরে আমরা পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবতার জীবনযাপন করতে বাধ্য হই। টিনের দোকানদার মোঃ বাচ্চু বলেন, বৃষ্টির সময় হাঁটু পর্যন্ত পানি হয় এই সড়কে। ফলে আমরা কোন বেচাকিনা করতে পারিনা। বাড়ি থেকে টাকা এনে দোকান ভাড়া দিতে হয়। চাল ব্যবসায়ী পলাশ সাহা ও মোদি মনোহরদী ব্যবসায়ী সাইদুর রহমান বলেন, আমাদের দুঃখের কোন শেষ নেই। এই কদমোক্ত রাস্তা দিয়ে কোন ক্রেতা আমাদের দোকানে ক্রয় করতে আসে না। ফলে আমাদের বেচাকিনা একেবারে কমে গেছে। দুর্ঘটনার ভয়ে কোন পাইকারি এই রাস্তায় ঢ়ুকে না। ব্যবসায়ীরা আরও বলেন আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে বারবার বলা সত্বেও কোন কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এ ব্যাপারে কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল মোল্লা জানান, আমি সরেজমিনে গিয়েছি। অবিলম্বে সড়কটি সংস্কারের কাজের ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমি অবগত। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়কে অবগত করেছি আশা করি কিছু দিনের ভিতরে উক্ত সড়কটি সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে ।