অদম্য মেধাবী লিতুন জিরার বাড়িতে ফুল আর মিষ্টি নিয়ে উপস্থিত হলেন মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নিশাত তামান্না। এ সময় তিনি হাত-পা বিহীন মুখের থুঁতনি দিয়ে লিখে জিপিএ-৫ পাওয়া অদম্য লিতুন জিরাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান এবং তাকে মিষ্টিমুখ করান। পরে ইউএনও বলেন অল্প কিছু দিনের মধ্যে যশোর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে লিতুন জিরাকে সংবর্ধিত করা হবে।
শুক্রবার মণিরামপুর ইউএনও নিশাত তামান্ন তার বাড়িতে গিয়ে শুভেচ্ছা জানান ও মিষ্টিমুখ করানোর পর উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্য বলেন, প্রতিবন্ধকতা হার মেনেছে লিতুন জিরার কাছে। জন্ম থেকেই হাত-পা না থাকায় ভেঙ্গে না পড়ে প্রবল ইচ্ছা শক্তির মাধ্যমে সে মুখ দিয়ে লিখে সব শ্রেণিতেই প্রথম, কখনও স্কুল ফার্স্টের গৌরব ধরে রেখেছে। সেই ধারাবাহিকতায় পিইসিতে জিপিএ-৫ পাওয়ার পর এবার এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে দেশবাসীকে চমক দেখিয়েছে।
উপজেলার শেখপাড়া খানপুর গ্রামের হাবিবুর রহমান ও জাহানারা বেগমের মেয়ে লিতুন জিরা বলেন, আমি সমাজের বোঝা হতে চাই না। লেখাপড়া শিখে আমি মানুষের মতো মানুষ হয়ে আত্মনির্ভরশীলতা অর্জন করে সমাজের সেবা করতে চাই। আজ এসএসসির ফলাফলে আমি অত্যন্ত খুশি, আনন্দিত। এর জন্য আমার পিতা মাতা, সকল শিক্ষক শিক্ষিকা, সহপাঠী, বন্ধুবান্ধব, গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে আমি চিরকৃতজ্ঞ।
লিতুনের সহপাঠী সজীব হোসেন জানায়, লিতুজিরা আমার খুব কাছের বন্ধু। সে অত্যন্ত মেধাবী। সে জিপিএ-৫ পাওয়াতে আমরা খুব খুশি। আমরা সকলেই সর্বদায় তার মঙ্গল কামনা করি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত তামান্ন আরও বলেন, কঠোর অধ্যবসায় ও অদম্য ইচ্ছাশক্তি দিয়ে যে সবকিছু অর্জন করা যায় তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন লিতুন জিরা। আমি তার উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য দোয়া ও সাফল্য কামনা করি। সাথে সাথে যশোর জেলা প্রশাসক স্যার তার ফলাফলে অত্যন্ত খুশি হয়েছেন। যেকারণে অল্প কিছু দিনের মধ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে সংবর্ধিত করা হবে বলে তিনি জানান।