মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ঐতিহ্যবাহী বাউশিয়া মোহাম্মদ আব্দুল আজহার উচ্চ বিদ্যালয়ে এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় ফলাফল বিপর্যয় হয়েছে। ফলে শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং স্থানীয় জনগণের মধ্যে চরম হতাশা বিরাজ করছে। বিদ্যালয়ের সূত্রে জানা গেছে, এবছর বিদ্যালয়টি থেকে মোট ১২৬ জন পরীক্ষার্থী
অংশ নেন। এদের মধ্যে ছাত্র ৫৩ জন,৭৩ জন ছাত্রী। পরীক্ষায় কৃতকার্য হয় ৮৫ জন। এদের মধ্যে ছাত্র ৩১ জন ৫৪জন ছাত্রী। অকৃতকার্য হয় ৪১ জন শিক্ষার্থী। এদিকে এমন হতাশা জনক ফলাফলে এলাকাবাসী প্রধান শিক্ষক সরদার আব্দুল কাইয়ুমকে দায়ী করেন।
এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, সরদার আব্দুল কাইয়ুম দীর্ঘ এক যুগের মতো বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এ দীর্ঘসময়ে তিনি বিদ্যালয়ে সৃষ্টি করেন একক আধিপত্য। তার এই আধিপত্যের প্রভাব পড়ে পাঠদানে। যার কারণে এত বেশি শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছে। অনেকে আবার বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক দুর্বলতা, শিক্ষকের অনুপস্থিতি,পাঠদানের মানের অভাব এবং মনিটরিং-এর ঘাটতিকে দুষছেন।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন অভিভাবক বলেন,স্কুলে নিয়মিত ক্লাস হয় না, শিক্ষকেরা মনোযোগী নন। প্রধান শিক্ষক সঠিক সময়ে অফিসে আসেন না।স্কুল ও বাসা একসাথে থাকার ফলে বেশি সময় বাসায় আরাম করেন বলে এক অভিবাবক বলেন। তাই তো ফলাফল এমন হবেই। এদিকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সরদার আব্দুল কাইয়ুম বলছে ভিন্ন কথা, তিনি বলেন
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির চাপাচাপিতে এবছর ফলাফল বিপর্য হয়েছে। যেখানে টেস্ট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিল ৩৫ জন। আমরা শিক্ষকরা যাচাই করে ৭৫ জনের একটা তালিকা করেছিলাম। সেখানে শিক্ষকদের ম্যানেজ করে ১২৬ জনের তালিকা তৈরি করে। যার ফলে যা হবার তাই হয়েছে।তবে এবার আমরা যে নতুন সভাপতি পেয়েছি উনি অনেক সাফল্য। আশা করি আগামীতে আমরা ১০০তে ১০০ই রাখবো।
নব-নির্বাচিত বিদ্যালয়টি ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সাইদুর রহমান মহসিন জানান, বাউশিয়া মোঃ আব্দুল আজহার উচ্চ বিদ্যালয় এর এই বছরের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল বিপর্যয় বিষয়টি নজরে আসার পর আমি প্রধান শিক্ষকের কাছে জানতে চেয়েছি।এবং এই রেজাল্ট খারাপের কারণ কি? কোন শিক্ষকের সাবজেক্টে ফেল করলো কি কি বিষয়ে দ্রুত একটি লিখিতভাবে জানাতে বলেছি।প্রতিষ্ঠানটি পুনরায় আগের পর্যায়ে আনার জন্য যারা প্রাক্তন ছাত্র আছেন তাদের সহযোগিতা চাচ্ছি।