বাংলাদেশকে ইনসাফ রাষ্ট্র করে জুলাই বিপ্লবে আত্মদানকারীদের ঋণ শুধবো

পিরোজপুর | প্রকাশ: ১৩ জুলাই, ২০২৫, ০৪:০৬ পিএম
বাংলাদেশকে ইনসাফ রাষ্ট্র করে জুলাই বিপ্লবে আত্মদানকারীদের ঋণ শুধবো

চব্বিশের ছাত্র-জনতার আন্দোলন ছিলো ১৭ বছরের স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতনের আন্দোলন। ওই আন্দোলন শুরু করেছিলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা। আন্দোলন সফল করতে আমাদের বীরেরা তাদের বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিলো। সেই রক্তের ঋণ আমাদের শোধ করতে হবে। রক্তের ঋণ শোধ করতে গত বছরের গণ অভ্যুত্থান পরবর্তীতে আমরা বাংলাদেশে বিরাজমান সব ধরনের বৈষম্য দূর করে দেশটাকে একটি ইনসাফ রাষ্ট্রে পরিনত করতে আন্দোলন শুরু করি। ইনসাফ রাষ্ট্র গঠনে আমরা সবাইকে আহবান জানিয়েছিলাম অন্তর্বর্তী সরকারকে সহায়তা করতে। কিন্তু সবাই এগিয়ে আসে নাই। 

জুলাই পদযাত্রার ১৩ তম দিনে আজ রোববার জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) পিরোজপুর জেলা শাখা আয়োজিত স্থানীয় শহীদ মিনারের সভায় এনসিপির কেন্দ্রীয় আহবায়ক নাহিদ ইসলাম এসব কথা বলেন। 

সকাল ১১টায় দলটির কেন্দ্রীয় নেতা কর্মীরা পিরোজপুর সার্কিট হাউস থেকে পদযাত্রা শুরু করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পথসভায় যোগ দেন। 

নাহিদ বলেন, নতুন দেশ গড়ার আহবান নিয়ে এবং জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য আমরা আপনাদের কাছে এসেছি। আমরা পিরোজপুর থেকে বরিশাল বিভাগের পদযাত্রা শুরু করলাম। আমরা কমিটমেন্ট করছি, আমরা রাজপথে আছি। রাজপথে থেকে বাংলাদেশকে একটি ইনসাফ রাষ্ট্রে পরিনত করে জুলাই বিপ্লবে আত্মদানকারী ও আহতদের ঋণ শুধবো ইনশাআল্লাহ। 

তিনি বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, সারা দেশে চাঁদাবাজি হচ্ছে। চাঁদা না দিলে মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। পুরান ঢাকায় সোহাগ হত্যা আইয়েমী জাহেলিয়াতকে হার মানায়। একটি চিহ্নিত গোষ্ঠী দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। এ অবস্থায় পুলিশকে জনগনের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, ১৬ বছরের ফ্যাসিস্ট আওয়ামী  সরকার যারপর নাই গুম, খুন, লুট, ভোট চুরি, দেশের টাকা বিদেশে পাচার, পুলিশী নির্যাতন করে এদেশের মানুষের জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছিলো। এ থেকে পরিত্রানের জন্য দীর্ঘদিনের চাপা ক্ষোভে ফেটে পড়া মানুষ রাস্তায় নেমে এসে স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছিলো। আমরা পুরনো অবস্থায় ফিরে যেতে চাইনা। তাই আমাদের এ আন্দোলনে আমরা আপনাদেরকে পাশে চাই।

সীমান্তে বিএসএফ এর হত্যা বিষয়ে অন্তবর্তীকালীন সরকারের সাবেক এ উপদেষ্টা বলেন, সীমান্তে হত্যা বন্ধ না হলে আমরা সীমান্ত অভিমুখে লং মার্চ করবো। সীমান্তে হত্যা বন্ধে বাংলাদেশ সরকারকে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ারও আহবান জানান তিনি।

মূষলধারে বৃষ্টির মধ্যে তিনি তার বক্তব্য রাখছিলেন। এসময়ে ‘দিল্লী না ঢাকা, ঢাকা-ঢাকা’, গোলামী না রাজপথ, রাজপথ-রাজপথ’ তাকে এসব শ্লোগান তুলে লোকসমাগম ধরে রাখতে দেখা গেছে। ‘আপনাদের সঙ্গে বিজয়ে দেখা হবে’ সভায় আগত মানুষদেরকে এই বলে তিনি তার বক্তব্য শেষ করেন।

পথসভায় উপস্থিত ছিলেন এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্থা শারমিন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারাসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে