আশাশুনির খাজরা ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বাচ্চুর অপসারণের দাবিতে উর্দ্ধন কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন, মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করার পরও কোন তদন্ত ও ব্যবস্থা না পেয়ে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রতিকার প্রার্থী ইউপি সদস্যরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে গিয়ে তাদের দাবীর কথা জানিয়েছেন। পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ ডালিম চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় পদটি শুন্য হয়। নিয়ম তান্ত্রিকভাবে প্যানেল চেয়ারম্যানের উপর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব চলে আসে। প্যানেল চেয়ারম্যান নিয়োগের সময় তিনি বিভিন্ন রকম ছলচাতুরীর আশ্রয় নিয়ে ভিত্তিহীন ভাবে প্যানেল চেয়ারম্যান দায়িত্ব নেন সাইফুল ইসলাম বাচ্চু। অন্য মেম্বারদের আপত্তি থাকলেও ইউপির উপ-নির্বাচনের তারিখ নিদিষ্ট হওয়ায় ইউপি সদস্যবৃন্দ বিকল্প পথ অবলম্বন করেন নাই। কিন্তু ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বাচ্চু দায়িত্ব পাওয়ার পরে পরিষদ আলোর মুখ দেখতে পারেনি। জনগণ সেবা পাওয়ার বদলে পরিষদে যেয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে না পেয়ে ফিরে আসতে হয়। তিনি স্থায়ীভাবে সাতক্ষীরায় থাকেন। গ্রামে থাকা তার চাচা নজরুল ইসলাম এর অবৈধ ভাবে পরিষদের দায়িত্ব দিয়ে রেখেছেন। বাধ্য হয়ে তার কাছে জনগন গেলে টাকার বিনিময়ে তার কাছে থাকা নকল সীল ও স্বাক্ষর প্রদান করে আসছেন। সে দায়িত্ব পাওয়ার পর অদ্যাবধি পরিষদের কি ধরনের সেবা মূলক কাজ এসেছে ইউপি সদস্যরা কেউ জানতে পারেনি। এমন কি তাদের পরিষদ থেকে কোনো সম্মানী দেওয়া হয়না। সরকারী সাহায্যে সহানুভূতি টি সি বি, গর্ভবর্তী সহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার সকল পন্য তিনি একাই নাম মাত্র বন্টন করে আত্মসাৎ করে জনগনকে হাতের জিম্মি করে রেখেছেন। পরিষদের ১১ জন ইউপি সদস্য তাদের অপকর্ম ও দুর্নীতির হাত থেকে পরিত্রান তথা তাকে অপসারণ করে নতুন প্যানেল/ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিয়োগের জন্য কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন করেন। আবেদন পেয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় স্থানীয় সরকার শাখা হতে গত ৯ ডিসেম্বর ---- ৭৭০ নং স্মারকে আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অভিযোগটি তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন প্রেরনের জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। কিন্তু কোন পদক্ষেপ দেখতে না পেয়ে আবেদনকারী মেম্বারদের পক্ষে রবিউল ইসলাম সবুজ, ইয়াকুব আলী,হাসমত আলী, শিমুল হোসেন, ইব্রাহিম খলিল, খায়রুল ইসলাম, তহমিনা বেগম ও সন্ধ্যারানী মন্ডল উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে গিয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়াম্যানের হাত থেকে রক্ষা পেতে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জোর দাবী জানান। তারা তার পরিবর্তে যে কোন একজনকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করার আবেদন জানান।