খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) বিগত এক বছরে বিধি বহির্ভূত নিয়োগসহ বিভিন্ন মাধ্যমে উত্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের জন্য বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। সোমবার (১৪ জুলাই) কমিশনের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক (পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়) ড. মোঃ মাহিবুল আহসান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির আহবায়ক হলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য (প্রশাসন) বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. মোঃ সাইদুর রহমান, সদস্য সচিব কমিশনের প্রশাসন বিভাগের উপ-সচিব (লিগ্যাল) (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ) নুরনাহার বেগম শিউলী এবং সদস্য কমিশনের সচিব ড. মোঃ ফখরুল ইসলাম। এছাড়া কমিশনের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী পরিচালক সেহজাদ রিফাত সিয়ামকে তদন্ত কমিটিকে সচিবিক সহায়তা প্রদানের দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। গঠিত কমিটিকে বর্ণিত বিষয়ে তদন্তপূর্বক আগামী এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়েছে।
অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়, তদন্তের স্বার্থে গঠিত কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট যেকোনো নথি ও আনুষঙ্গিক কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাসহ তার অনুলিপি সংগ্রহ করতে পারবে এবং কমিটি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট কোন ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার প্রকৌশলী মোঃ আনিচুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা অফিসিয়াল ভাবে তদন্ত কমিটির কোন অনুলিপি পাইনি। তবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী আমরা তাদেরকে তদন্তের ব্যাপারে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করব।’
অপরদিকে, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)-এর ভাইস-চ্যান্সেলর নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মাসিক বেতন-ভাতাদি প্রদানের জন্য সাময়িক সময়ের জন্য বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ জামিনুর রহমানকে আর্থিক ক্ষমতা অর্পণ করা হয়েছে। ১৫ জুলাই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের (বৃত্তি ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা) সিনিয়র সহকারী সচিব এ.এস.এম. কাসেম স্বাক্ষরিত এক পত্রে এ আদেশ প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগতদের হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। পরে আন্দোলনের মুখে তৎকালীন ভিসি ও প্রোভিসিকে অব্যাহতি দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন ভিসি নিয়োগ দেয় সরকার। কিন্তু তিনি শিক্ষকদের আন্দোলনের মুখে দায়িত্ব পালন করতে না পেরে ২২ মে পদত্যাগ করেন। সেই থেকে এখনও কুয়েট অভিভাবকহীন রয়েছে।