আশাশুনিতে এইচএসসি পরীক্ষা শান্তিপূর্ণ হলেও মানসিক অশান্তির অভিযোগ

এফএনএস (জি.এম. মুজিবুর রহমান; আশাশুনি, সাতক্ষীরা) : | প্রকাশ: ১৫ জুলাই, ২০২৫, ০৭:২৩ পিএম
আশাশুনিতে এইচএসসি পরীক্ষা শান্তিপূর্ণ হলেও মানসিক অশান্তির অভিযোগ

আশাশুনি উপজেলায় বিভিন্ন কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে এইচ এস সি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে একটি কেন্দ্রে মানসিক চাপ ও অশান্তির অভিযোগ পাওয়া গেছে। অন্য সময়ের তুলনায় এ বছর তুলনামুলক ভাবে পরীক্ষার সার্বিক পরিবেশ অনেক ভাল আছে। বলতে গেলে নিরুত্তাপ ও নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কেন্দ্রের বাইরের পরিবেশ দেখলে বোঝা যায়, সেখানে পরীক্ষায় অবৈধ সহায়তার জন্য অপেক্ষার দৃশ্য বা কানাঘুষা, তোড়তোড়ে ব্যস্ততার শোরগোলের লুকোচুরি খেলা নেই। দেখা মেলেনা অবাঞ্চিত ব্যক্তির অনুপ্রবেশ। আশাশুনি সরকারি কলেজ কেন্দ্র ও আশাশুনি মহিলা কলেজ কেন্দ্রে গোপনে ও প্রকাশ্যে অনুসন্ধানে তেমন কোন অনিয়ম চোখে পড়েনি। দরগাহপুর কলেজিয়েট স্কুল কেন্দ্রেও তেমন কোন অভিযোগ না পাওয়া গেলেও কেন্দ্রের একটি অংশে পরীক্ষার্থী ও কেন্দ্র পরিদর্শকদের উপর মানসিক চাপ ও অশান্তি সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধীক শিক্ষক অভিযোগ করে জানান, বিগত বছরে দরগাহপুর কেন্দ্রের পরীক্ষা নিয়ে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। এবছর পরীক্ষা সুষ্ঠু করতে দরগাহপুর কলেজের পরীক্ষার্থীদের রাড়ুলি কেন্দ্রে এবং রাড়ুলি আরকেবিকে হরিষচন্দ্র কলেজের পরীক্ষার্থীদেরকে দরগাহপুরে শিপট করা হয়েছে। ফলে দরগাহপুরে গদাইপুর মৌলভী আব্দুল লতিফ কলেজ, বড়দল আফতাব উদ্দীন কলেজ ও রাড়ুলি আরকেবিকে হরিষচন্দ্র কলেজের পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিচ্ছে। এখানেও পরীক্ষার পরিবেশ নিয়ে কোন অভিযোগ নেই। কিন্তু ইংরেজী ১ম পত্র ও ফিজিক্স ২য় পত্রের পরীক্ষার দিন ভিজিলেন্স টিম সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পেয়ে কেন্দ্রে আসেন গদাইপুর ও বড়দল কলেজ এলাকার নিকটবর্তী কলেজ এপিএস কলেজের একজন শিক্ষক। অভিযোগকারীরা জানান, একই এলাকার কলেজ শিক্ষককে পাশের কলেজের পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা দৃষ্টি কটু ও প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। তাছাড়া তিনি দায়িত্ব পালনকালে পুরো সময় ঐ দুই কলেজের পরীক্ষার্থীদের কক্ষে ও কক্ষের সামনে অবস্থান করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এমনকি কক্ষ পরিদর্শকদের সাথেও মানসিক চাপ সৃষ্টিমূলক কথাবার্তা ও আচরণ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ফলে পরীক্ষার্থীরা মানসিক চাপে সাবলিল ভাবে উত্তর লিখতে পারেনি বলে পরীক্ষা শেষে পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ করতে দেখা গেছে।

এব্যাপারে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শিক্ষক জানান, ভিজিলেন্সটিমের কোন সদস্যকে একই কেন্দ্রে দু'দিন দায়িত্ব পালন করতে হবে কেন? দায়িত্ব পালনের সময় কেন্দ্রের অন্য বিল্ডিংয়ে না গিয়ে দুই দিন একই বিল্ডিং এ অবস্থান নেওয়ার অভিযোগ করে তারা এর মধ্যে অভিসন্ধির সন্দেহ প্রকাশ করেন। আবার ব্যক্তি স্বার্থ জড়িত থাকা কেন্দ্রে দায়িত্ব প্রদান করার বিষয়টিও ভেবে দেখতে কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানান তারা।