বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নের ৪৯ নং আমতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী মোঃ শাকিলের ৭ বছরের শিশু আলিফা শাহরিয়া তাহসিন এবং একই শ্রেণীর মোঃ আউয়ালের শিশু কন্যা মোসাঃ ফাতিমা আক্তার লামিয়া সহ দ্বিতীয় শ্রেণীর ৫ শিশু শিক্ষার্থীকে উক্ত বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ বাবুল পহলান পিপিয়েছে। এতে মোঃ শাকিলের ৭ বছরের শিশু আলিফা শাহরিয়া তাহসিন গুরুতর আহাত হয়েছে।
আহত আলিফা শাহরিয়া তাহসিনকে পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পরে কাকচিড়া তোফাজ্জেহোসেন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ১৪ জুলাই সোমবার বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষে।
এ ঘটনায় আলিফা শাহরিয়া তাহসিন এর মাতা মোসাঃ আলেয়া আক্তার লিলি পাথরঘাটা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
জানা গেছে বাড়ির দরজায় বিদ্যালয়টি হওয়ার কারণে অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক বাবুল পহলান দীর্ঘদিন যাবত স্বেচ্ছাচারিতা করে আসছিল,তিনি একাধিকবার বিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরকেও মার ধর করার চেষ্টা করেছে।
যার ফলে ইতিপূর্বে বাবুল পহলানের বিরুদ্ধে দুটি রেজুলেশন করা হয়েছে। ঘটনার দিন আক্রোশমূলক দ্বিতীয় শ্রেণীর ৫ জন শিশু শিক্ষার্থীকে বেদমভাবে পিটিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ হাবিবুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষক বাবুল পহলানের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিৎ করেছেন, এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবার পাথরঘাটা উপজেলা শিক্ষা অফিস বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন এখন বিষয়টি কর্তৃপক্ষ দেখছেন।
পাথরঘাটা উপজেলা শিক্ষা অফিসের সহকারী শিক্ষা অফিসার বলেন,বিদ্যালয়ের ক্লাস্টার কর্মকর্তা রনজিত চন্দ্র মিস্ত্রি ও পাথরঘাটা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার দীপক চন্দ্র বিশ্বাস ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন অভিযুক্ত শিক্ষক বাবুল পহলানের বিরুদ্ধে আলিফা শাহরিয়া তাহসিন এর মাতা মোসাঃ আলেয়া আক্তার লিলির লিখিত দরখাস্ত পাওয়ার পরে অভিযুক্ত শিক্ষককে ডেকেছি।
তারা বলেন অভিযুক্ত শিক্ষক বাবুল পহল লিখিতভাবে ঘটনা সত্যতা স্বীকার করেছেন।
জানতে চাইলে বরগুনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবু জাফর মোঃ ছালে বলেন, বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমে অবগত হয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
১৫ জুলাই মঙ্গলবার সরে জমিন উল্লেখিত বিদ্যালয়ে গিয়ে জানা গেছে শিক্ষক বাবুল পহলানের আক্রোশ মূলক পিটুনির কারণে একাধিক অভিভাবক তাদের সন্তানদের উক্ত বিদ্যালয়ে পাঠান বন্ধ করে দিয়েছে অভিভাবকরা বলেন উল্লেখিত শিক্ষক বাবুল পহলান বিদ্যালয়ে থাকলে আমরা আমাদের সন্তানদের বিদ্যালয় পড়াতে রাজি না। তারা বলেন শিক্ষক বাবুল পহলান আমাদের সন্তানদের পিটিয়ে মেরেও ফেলতে পারে আমরা ওই বিদ্যালয় সন্তানদের পাঠাতে ভয় পাই।
জানতে চাইলে অভিযুক্ত শিক্ষক বাবুল পহলান বলেন ঘটনার দিন দুইজন শিক্ষক বিদ্যালয় অনুপস্থিত ছিল যার কারনে আমার মন মেজাজ অনেকটা খারাপ ছিল। তিনি বলেন একদিকে দুজন শিক্ষক অনুপস্থিত থাকার কারণে মেজাজ খারাপ অপরদিকে শিশুরা দুষ্টুমি করার কারনে ৫ জন দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে আমি পিটিয়েছি এতে আলিফা শাহরিয়া তাহসিনের গায়ে একটু জোরে লেগেছে।