গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ঘোষিত জুলাই পদযাত্রা কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে হামলা, সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সরকার ২২ ঘণ্টার কারফিউ জারি করে। যা বুধবার রাত ৮টা থেকে শুরু হয়ে বৃহস্পতিবার বিকেল ৬টা পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। খবর পাওয়া গেছে, এ কারফিউ চলাকালে ১৪ জনকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। তাদের গোপালগঞ্জ সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
বৃহস্পতিবার সকালে গোপালগঞ্জের ঘটনায় এখনও মামলা দায়ের হয়নি বলে জানিয়েছেন সদর থানার ওসি মীর মো. সাজেদুর রহমান।
এদিকে চলমান কারফিউয়ে জেলায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। বুধবার রাত থেকে সীমিত আকারে রিকশা চলাচল করলেও অন্য কোনো যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়নি। বন্ধ ছিল ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বের হয়নি।
তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার ভোর থেকে এখন পর্যন্ত রাস্তা-ঘাট, হাটবাজারে মানুষের আনাগোনা নেই বললেই চলে। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। জেলা কারাগারের সামনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
জানা যায়, এনসিপির ঘোষিত ‘জুলাই পদযাত্রা’ ঘিরে বুধবার গোপালগঞ্জে ওই হামলা চালায় আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় ৪ জন নিহত এবং অন্তত ৯ জন গুলিবিদ্ধসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন।
গোপালগঞ্জে দিনভর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের নিহতরা হলেন- জেলা শহরের উদয়ন রোডের সন্তোষ সাহার ছেলে যুবলীগ সদস্য দীপ্ত সাহা (২৫), শহরের থানাপাড়ার কামরুল কাজীর ছেলে রমজান কাজী (২৪), সদর উপজেলার আড়পাড়া এলাকার আজাদ তালুকদারের ছেলে ইমন তালুকদার (১৮) ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ইদ্রিস মোল্যার ছেলে সোহেল মোল্যা।
উল্লেখ্য, বুধবার গোপালগঞ্জে সভা শেষে ফেরার পথে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) গাড়িবহরে আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। এতে হামলাকারী ও পুলিশের মধ্যে দিনভর সংঘর্ষ চলে। এতে পুরো শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সারাদেশে প্রতিবাদের তীব্র ঝড় দেখা যায়।