নির্বাচন পেছাতে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে,বললেন রিজভী

এফএনএস অনলাইন: | প্রকাশ: ১৭ জুলাই, ২০২৫, ০৪:১৫ পিএম
নির্বাচন পেছাতে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে,বললেন রিজভী

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বৃহস্পতিবার  রাজধানীর নয়াপল্টনে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ছবি অবমাননা ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নামে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের প্রতিবাদে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দল আয়োজিত মিছিল পূর্ববর্তী সমাবেশে বললেন, “কেন আজ নির্বাচন পেছানোর কথা বলা হয়। কেন ফেসবুকে লেখা হয়, ৫ বছর পর্যন্ত এই সরকার থাকুক। এগুলো কি উদ্দেশ্য প্রণোদিত? আমরা বলেছি ভাই, ১৬-১৭ বছর এ দেশের ভোটাররা ভোট দিতে পারেনি। আমরা চাই আবারও ভোটকেন্দ্র জনগণের পদধ্বনিতে মুখোরিত হবে। আর এর জন্যই এত আত্মত্যাগ। তাহলে ভোট কেন পেছাবে, এটা তো আজ গোটা জাতির প্রশ্ন। তাহলে ভেতরে ভেতরে তো গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। এটা তো হতে পারে না।”

রুহুল কবির রিজভী আরও যোগ করে বলেন, “এক বছর আগে আন্দোলনের সময় কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা করা হয়। এই কমপ্লিট শাডডাউন যখন ঘোষণা দিল, আমি নিজে প্রেস ব্রিফিং করে, পুলিশের হাত থেকে গ্রেপ্তার এড়িয়ে কোনো এক বাসা থেকে সেটার প্রতি সমর্থন জানালাম তারেক রহমানের নির্দেশে। এর আগেও তাদের যত কর্মসূচি সেই কর্মসূচিতে আমরা সমর্থন জানালাম। আমাদের নেতকর্মীদের বললাম, যারা এই আন্দোলনে যোগ দেবে তারা বীর হিসেবে থাকবে আমাদের মাঝে।”

আন্দোলনে ১৪১ জন ছাত্রদলের নেতা মারা গেল। রিকশাওয়ালা মারা গেছে ২৩ জন, তারা বিএনপির লোক। আরও শ্রমিক মারা গেছে। আমাদের কৃষক দলের নেতা মারা গেছে ১১ জন। তারা কী এমনি এমনি দুনিয়া থেকে চলে গেলা। এই আন্দোলনের পর শেখ হাসিনা যখন চলে গেল, তিন দিন পর সরকার গঠন করা হলো। সেই তিন দিন না ছিল পুলিশ, না ছিল প্রশাসন, না ছিল সরকার। তখন সমাজের মধ্যে শান্তি ও স্থিতি রক্ষার্থে কারা কাজ করেছেন? বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা ও ছাত্ররা করেছেন। ছাত্রদের নেতাকর্মীরা সহায়তা করেছেন- উল্লেখ করেন বিএনপির এ নেতা।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‌‘আন্দোলনের মধ্য দিয়ে একটা ঐক্যবদ্ধ শক্তি আমরা তৈরি হয়েছিলাম। কিন্তু সরকার গঠনের পর মনে হলো কোনো একটি বিশেষ গোষ্ঠীর সরকার। এখানে যে আমাদের এত ছেলের রক্ত ঝরলো, তাদের দেহ রাজপথে লুটিয়ে পড়লো, এটার কি কোনো দাম নেই?’ 

তিনি বলেন, মব কালচার আমরা মানতে পারি না। আন্দোলনের একটি সরকার ড. ইউনূসের সরকারের সময় কেন এই কালচারটি প্রতিষ্ঠিত হলো। যখন হাসিনা চলের যাওয়ার পর তিন দিন কোনো ডাকাতি, চুরি, হয়নি, তাহলে সরকার গঠনের পরে কেন মব কালচার তৈরি হবে?  

‘এর পরে আমরা দেখছি, মাজারে মাজারে হামলা হচ্ছে। মহিলা ফুটবল টুর্নামেন্ট বন্ধ করে দেওয়া হলো। হুমকি দেওয়া হলো। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নারী পুরুষ বসাই সমানভাবে অধিকার ভোগ করবে, তাহলে এই মহিলা ফুটবল টুর্নামেন্ট বন্ধ করলো করা? আপনারা সবাই জানেন। এটা কিসের আলামত। একটা ভয়ংকর আলামত আপনারা তৈরি করেছেন। আমরা এগুলো সমর্থন করিনি’-যোগ করেন রিজভী।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে