জোর পূর্বক ১০টি গাছ কেটে নেয়ার অভিযোগ

ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার আকোটেরচর ইউনিয়নের আলীমদ্দিনের ডাঙ্গী গ্রামের অসহায় বিধবা মৃত মোজাম বেপারীর স্ত্রী হালিমা বেগম (৫৫) এর বসতভিটের ১০টি ভারী গাছ তার আপন দেবর জোর পূর্বক কেটে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ১৫ জুলাই সকালে প্রতিবেশী দেবর মৃত বাদশা বেপারীর ছেলে হারুন বেপারী (৪১) তার সাঙ্গপাঙ্গ সাথে নিয়ে জোর পূর্বক বিধবার ভিটের ৭টি মেহগনি গাছ, ২টি আম গাছ ও ১টি বেল গাছ সহ মোট ৫০ হাজার টাকা মূল্যমানের ১০টি গাছ কেটে নিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ সময় অসহায় বিধবা মৌখিক বাঁধা দিলেও তার কথা কেউ শুনেনি। বরং বৃক্ষ লুটেরা বিধবাকে বাড়ীর মধ্যে আটকে রেখে এবং প্রাণ নাশের হুমকী দিয়ে গাছগুলো জোরপূর্বক কেটে নিয়েছে বলে জানিয়েছে। 

এ ব্যাপারে অসহায় বিধবা সদরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ পেশ করেছেন। বৃহস্পতিবার এ ঘটনার তদন্ত অফিসার সদরপুর থানার এসআই মোখলেছুর রহমান জানান, “ টানা বৃষ্টির কারনে ঘটনাস্থলে আমি এখনো যেতে পারি নাই। তবে বিধবার দেবর হারুন বেপারীর সাথে আমার মুঠো ফোনে কথা হয়েছে। সে বিধবার গাছ কাটার কথা স্বিকার করেছে। তিনি আরও জানান, উক্ত বিধবা অসহায় বিধায় তাকে পূর্ণ আইনী সহায়তা দেওয়ার চেষ্টা করবো”।

আর সরেজমিন ঘুরে বৃক্ষ খেকো দেবর হারুন বেপারীকে জিজ্ঞেস করলে সে জানায়, “ আমার দাদীর আফছা স্বত্তে আমরা জমি পাবো বিধায় আমি গাছ কেটে নিয়েছি”।

জানা যায়, বিগত ১৫ বছর পূর্বে এক কন্যা ও দুই পুত্র রেখে বিধবার স্বামী মারা যায়। ক’বছর আগে বিধবা তার একমাত্র কণ্যাকে বিয়ে দিয়েছেন এবং দুই ছেলে বিদেশে পাঠিয়ে বাড়ীতে সে একাই থাকে। আর এ অসহাত্বর সুযোগ নিয়ে প্রতিবেশী দেবর তার জায়গা জমি জোর পূর্বক দখল করতে চাচ্ছে এবং গত মঙ্গলবার দেবর হারুন বেপারী বসতভিটের ১০টি ভারী বৃক্ষ জোর পূর্বক কেটে নিয়েছে বলে অভিযোগ করে চলেছেন উক্ত ভুক্তভোগী বিধবা। 

উল্লেখ্য, উক্ত বিধবা তার স্বামীর ভিটে সদরপুর থানাধীন ২৬ নং কৃষ্ণ মন্ডলের ডাঙ্গী মৌজায় বিএস ১৫৬২ নং খতিয়ানে এবং ৩১৭৫ নং দাগে ১৫ শতাংশ জমির বসতভিটেয় বসবাস করে আসছেন। উল্লেখিত বসতভিটে থেকে দেবর হারুন বেপারী ১০টি ভারী গাছ কেটে নিয়েছে বলে অভিযোগ।