জাতীয় সমাবেশ ঘিরে সম্ভাব্য ভোগান্তির জন্য আগাম দুঃখ প্রকাশ জামায়াতের

নিজস্ব প্রতিবেদক
| আপডেট: ১৮ জুলাই, ২০২৫, ০৭:০৫ পিএম | প্রকাশ: ১৮ জুলাই, ২০২৫, ০৭:০৫ পিএম
জাতীয় সমাবেশ ঘিরে সম্ভাব্য ভোগান্তির জন্য আগাম দুঃখ প্রকাশ জামায়াতের

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শনিবার (১৮ জুলাই) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশ। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিপুলসংখ্যক অংশগ্রহণকারী ঢাকায় আগমন করবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এ অবস্থায় সম্ভাব্য যানজট ও জনদুর্ভোগের জন্য আগাম দুঃখ প্রকাশ করেছে দলটি।

শুক্রবার (১৭ জুলাই) বিকেলে সমাবেশস্থল পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “শনিবারের সমাবেশে কয়েক লাখ মানুষ ঢাকায় আসবেন, ফলে সাময়িকভাবে কিছু দুর্ভোগ দেখা দিতে পারে। তবে সেই দুর্ভোগ যেন সীমিত রাখা যায়, তা নিশ্চিত করতে আমরা সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিচ্ছি।”

তিনি জানান, স্থল, নৌ, সড়ক ও রেলপথে লোকজন শুক্রবার রাত থেকেই রাজধানীতে প্রবেশ শুরু করবে। ঢাকায় আগত মানুষের জন্য যাতে কোন ধরণের হয়রানি বা অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়, সে বিষয়ে দলটির পক্ষ থেকে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

সমাবেশের সফল আয়োজনের লক্ষ্যে দলীয় প্রস্তুতির কথা জানিয়ে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, বর্ষাকালের কথা মাথায় রেখে আয়োজনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ সম্পন্ন করতে ছয় হাজার স্বেচ্ছাসেবককে আটটি বিভাগে ভাগ করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা, নিরাপত্তা এবং আগতদের সেবা নিশ্চিত করবেন।

এ সময় তিনি জানান, সমাবেশ নির্বিঘ্ন করতে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, ডিএমপি কমিশনার এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সঙ্গে আলাপ করে প্রশাসনিক সহায়তা ও নিরাপত্তার আশ্বাস পাওয়া গেছে। ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার জন্য পুলিশের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর সঙ্গে একাধিক বৈঠক হয়েছে বলেও জানান তিনি। রাজধানীতে আসা বাস কোথায় থামবে এবং কীভাবে শহরে প্রবেশ করবে, সে বিষয়েও আলাপ-আলোচনা হয়েছে।

গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, “আমরা সারা দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই যেন শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ সম্পন্ন করতে পারি। লাখ লাখ মানুষের আগমনে হয়তো যানজট হবে, জনভোগান্তি তৈরি হতে পারে। এজন্য আমরা আগাম ক্ষমা প্রার্থনা করছি।”

এ সমাবেশের মাধ্যমে জামায়াত তাদের সাত দফা দাবি জনসমক্ষে তুলে ধরতে চায়। এই দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- পিআর ভিত্তিক নির্বাচন ব্যবস্থা চালু, জুলাই গণহত্যার দৃশ্যমান বিচার ও সমতাভিত্তিক রাজনৈতিক পরিবেশ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) নিশ্চিত করা।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে