৭১ ও ২৪ দুটোই মুক্তির চেতনা: মনির হায়দার

এফএনএস (ফারুক আহমেদ; মেহেরপুর) :
| আপডেট: ১৯ জুলাই, ২০২৫, ০৪:২৪ পিএম | প্রকাশ: ১৯ জুলাই, ২০২৫, ০৪:২৪ পিএম
৭১ ও ২৪ দুটোই মুক্তির চেতনা: মনির হায়দার

৭১ ও ২৪ দুটোই মুক্তির চেতনা বলে মন্তব্য করেছে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার। শনিবার দুপুর ১২  টায় গাংনী উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে সরকারী কর্মকর্তা রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন।

তিনি আরো বলেন,সব যুদ্ধকে ৭১ কিংবা ৬৫ মত ভারত পাকিস্থান যুদ্ধের মত মনে করা যাবেনা। এখনকার যুদ্ধে কম মানুষ প্রান হারায় কিন্তু ক্ষয়ক্ষতি অনেক বেশি হয়। ২৪ সালের যুদ্ধের মধ্য দিয়ে একটি পক্ষ পরাজিত হয়েছে। সেই পক্ষটি মাফিয়া ফ্যাসিষ্ট। মাফিয়া ফ্যাসিষ্ট জনগনের কাছে পরাজিত হয়েছে।

তৎকালিন মাফিয়া ফ্যাসিষ্ট সরকার সমস্থ আইনশৃংখলা রক্ষা বাহিনীকে কব্জায় নিয়ে জনগনের উপর লেলিয়ে দিয়েছিলো। যারা ২৪ সালের গনহত্যার সাথে জড়িত ছিলো পৃষ্টপোশকতা কিংবা মদদ দিয়েছিলো তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনআনুক ব্যবস্থ্য গ্রহন করাটাই নিরপেক্ষতা।

তিনি আরো বলেন,আগে আমরা ততটুকু অধিকার পেতাম যতটুকু দয়া করে দেয়া হতো। আমার যতটুকু অধিকার আমার মত আরেকজন নির্ধারন করে দিত। এভাবে মানুষজন জিম্মিদশায় ছিলো। এমন এক শাসক গোষ্ঠি আমাদের উপর উপর ছিলো তারা শুধু অধিকারই কেড়ে নেইনি নানা রকম নির্যাতন নিপিড়ন করেছিলো।

মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে তিনি বলেন,মুক্তিযুদ্ধ না হলে স্বাধীন ভুখন্ড পেতাম না। মুক্তিযুক্ত ছিলো মুক্তির চেতনা পাকিস্থনিদের থেকে মুক্তি পাওয়া। মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অর্জন এটা চাইলে কেই খাটো করতে পারবেনা।বৈদ্যনাথতলা ভবেরপাড়া থেকে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছিলো। 

বাংলাদেশের জনগনের মুক্তি সংগ্রাম আন্দোলনে শেখ মুজিবুর রহমান যে অবদান সেটি অস্বিকার করা সুযোগ নেই। তবে শেখ মুজিবর রহমান মুজিবনগরে কোন দিন আসেনি। তার সাথে মুজিবনগরের কোন সম্পর্ক নেই। তার নামে কেন নামকরন করা হলো বলে তিনি প্রশ্ন করেন। মুজিবনগরের নাম হতে পারতো মুক্তিপুর,মুক্তিনগর। এসময় তিনি সার্বিক উন্নয়নে সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন। 

মেহেরপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তাজওয়ার অঅকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদেও সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য রাখেন গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার,সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক মো: আমজাদ হোসেন,গাংনী উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি রেজাউল হক,সাধারন সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু,অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক,জামায়াত নেতা জিল্লুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। 

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে