গাজীপুরের কাপাসিয়ায় লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে ঝগড়ার জেরে স্কুলের দপ্তরি আরিফ হোসেন ভূঁইয়াকে (৩০) ছুরিকাঘাতে খুন করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ২০ জুলাই রোববার দুপুরে উপজেলার বারিষাব ইউনিয়নের কির্তুনিয়া গ্রামে। সে ওই গ্রামের মৃত: আব্দুল মালেক ভূঁইয়ার পুত্র। এঘটনার সাথে জড়িত ঘাতক মাদকাসক্ত আসাদুল্লাহকে (৩৫) এলাকাবাসী আটক করে পুলিশে সোর্পদ করেছেন।
জানা যায়, উপজেলার কির্তুনিয়া ইউছুব আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের দপ্তরি আরিফ হোসেন ভূঁইয়া বেলা ১২ টার দিকে বিদ্যালয়ে যাবার পথে আক্রমনের শিকার হন। একই গ্রামের ফাইজ উদ্দিনের পুত্র ঘাতক সিএনজি চালক আসাদুল্লাহ চুপিসারে পিছন দিক থেকে এসে অতর্কিতে নিহতের পিঠে উপর্যুপুরি ছুরিকাঘাত করে। তার ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ছুরিকাঘাত করে ঘাতক পালিয়ে যাবার চেষ্টাকালে এলাকাবাসী তাকে আটক করে গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘাতক আসাদুল্লাহকে জনতার রোষানল থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। নিহতের মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি জয়নাল আবেদীন মন্ডল ও ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মোঃ রবিউল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
নিহত আরিফ হোসেনের দেড় বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। গত একমাস আগে তার পিতা ইন্তেকাল করেন। আরিফরা ৩ ভাই ও ৪ বোন।
উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব জুনায়েদ হোসেন লিয়ন জানান, ছুরিকাঘাতে নিহত আরিফ হোসেন ভূঁইয়া বারিষাব ইউনিয়ন যুবদলের ২ ওয়ার্ড সহ-সভাপতি। সে এলাকায় নিরিহ প্রকৃতির ছিলো। তার হত্যার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং দোষী ব্যক্তির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
এব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জয়নাল আবেদীন মন্ডল জানান, নিহত আরিফ হোসেন ইতিপূর্বে আসাদুল্লাহর নিকট একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা বিক্রয় করেন। ওই সিএনজি বিক্রয়ের লেনদেন নিয়ে তাদের মাঝে ঝগড়া ছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়। জড়িত আসাদুল্লাহকে আটক করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের সিদ্ধান্তে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।