ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলা বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপুর্ণ শিল্পএলাকা,ইতোমধ্যে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন। ভালুকা উপজেলা বাংলাদেশের মধ্যে একটি ঐতিহাসিক স্থান। ভালুকাকে ময়মনসিংহের প্রবেশ ধার বলা হয়। ১১ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ১০৮টি ওয়ার্ড নিয়ে ভালুকা আসন ঘঠিত হয়েছে। আয়তনের দিক দিয়ে ৪৪৪,০৫ বর্গ কিলোমিটার। জনসংখা ৩ লাখ ৮ হাজার ৭শত ৫৮্ন জন। ময়মনসিংহ ১৫৬ ভালুকা ১১ এ আসনটি ১৯৭৯ সাল থেকে আওয়ামী বিরোধী শিবিরের দখলে ছিল। এ আসনে দুইবার মুসলিমলীগ একবার জাতীয় পার্টি দুই বার বিএনপির থেকে এমপি নির্বাচিত হয়েছিল। ১৯৯৬ সালে দলীয় কোন্দল ও গ্রুপিংয়ের কারনে আসনটি বিএনপির হাত ছাড়া হয়। ১৯৯৬ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বিনা ভোটে রাতের ভোটে ভোট না করে আসনটি ধরে রেেেখ ছিল আ,লীগ। বিএনপি আসনটি উদ্ধারের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। জামায়াত ইসলামীও থেমে নেই। তারা নির্বাচনকে সামনে রেখে সাংগঠনিক কার্যক্রম ও গনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। এদিকে ৫ আগস্টের পর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ফখরউদ্দিন আহাম্মেদ বাচ্চু তার গ্রুপের নেতাকর্মীরা চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়ে। ফলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়াম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে বাচ্চুকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়। চাঁদাবাজির অভিযোগে কেন্দ্রিয় কমিটির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স বাদী হয়ে বাচ্চুসহ অজ্ঞাত আরো ১৮ জনের বিরুদ্ধে ভালুকা মডেল থানায় মামলা করা হয়। পরে ভালুকা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব মুহাম্মদ মুর্শেদ আলমকে ভারপ্রাপ্ত আহবায়কের দায়িত্ব দেয়া হয়। মুর্শেদ আলম দায়িত্ব নেয়ার পর দলকে চাঙ্গা করতে উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে সভা সমাবেশ করে দলের মধ্যে কিছুটা শৃংখলা ফিরে আসে। কিন্তু উপজেলা বিএনপির দ্বিমুখী কয়েক জন মধ্য সারির নেতা সালিশের নামে চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছেন। ওইসব নেতাকে দমন করতে না পারলে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির জন্য ভোটের বড় চ্যালেনজ হয়ে দাড়াতে পারে। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির ৪ জামায়াত ইসলামী ১ ও এনসিপির ১ জন প্রার্থীর নাম শুনা যাচ্ছে। ইসলামী বা অন্য দলগুলোর কর্মকান্ড তেমন একটা দেখা যায়নি। ভোটের শেষ লড়াইটা বিএনপি ও জামায়েত ইসলামী মধ্যে হতে পারে।
(এক) বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী ময়মনসিংহ জেলা ব্এিনপির যুগ্ম আহবায়ক ও ভালুকা উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক আলহাজ্ব মুহাম্মদ মুর্শেদ আলম। ১৯৭৯ সালে থেকে ছাত্রদল দিয়ে বিএনপির রাজনীতি শুরু করেন। ২০১৪ সাল থেকে আনন্দোলন সংগ্রাম করে রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকান্ডে ব্যাপক অবদান রয়েছে তার। তিন সৎ মেধাবী ধনাট্য ব্যাক্তি। তিনি উপজেলায় একজন দানবীর ব্যাক্তি হিসাবে পরিচিত হয়ে উঠেছেন। তিনি ২০১১ সালে উপজেলার শিল্প এলাকা হবিরবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে ঐ বছর বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ ফোরামের মহাসচিব নির্বাচিত হয়ে ছিলেন। ২০১৪ সালে দলের মনোনয়ন নিয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে ছিলেন। তৎকালীন বিএনপির সভাপতি ফখরউদ্দিন আহাম্মেদ বাচ্চু গ্রুপের নেতাকর্মীরা মাঠে নেমে থানা আ,লীগের সাধারন সম্পাদক গোলাম মোস্তুফার পক্ষে নৌকা প্রতীকে প্রকাশ্যে নির্বাচন করে ভোট চেয়েছেন। ওই নির্বাচনে মুর্শেদ আলম ব্যাপক ভোটের ব্যবধানে জয় লাভ করেন। কিন্তু রাত ২টার পর প্রসাশন ভোটের ফলাফল পাল্টিয়ে আ,লীগ প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষনা করেন। ত্রয়োদশ নির্বাচনকে সামনে রেখে দল গোছানো সহ ব্যাপক গনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। সাধারন ভোটারের ধারনা মুর্শেদ আলমকে দল মনোনয়ন দিলে হারানো আসন ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
(দুই) এডভোকেট আনোয়ার আজিজ টুটুল ১৯৯৮৩ সালে ময়মনসিংহ নাসিরাবাদ কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি ছিলেন। ছাত্রদল দিয়েই তার বিএনপির রাজনীতি শুরু হয়। ২০০২সালে ভালুকা উপজেলা বিএনপির আহবায়কের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ময়মনসিংহ জেলা কমিটির বিভিন্ন পদে একাধিক বার দায়িত্ব ছিলেন। একবার জেলা আইনজীবি সমিতির সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে ছিলেন। বর্তমানে আইন পেশায় তিনি ময়মনসিংহ জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমানে ময়মনসিংহ জেলা ও ভালুকা উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য। আনন্দোলন সংগ্রামে তিনি ব্যাপক ভুমিকা রেখেন। ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভালুকা থেকে দলের মনোনয়ন পেয়ে ছিলেন। তিনি এলাকায় গণসযোগ সভা সমাবেশ করে যাচ্ছেন। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী।
(তিন) ব্যারিস্টার আবুল হোসাইন ১৯৭৮সালে ময়মনসিংহ নাসিরাবাদ কলেজ ছাত্রদলের আহবায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। পরে চাকুরীতে চলে যান। চাকুরীজীবন শেষে পুনরায় বিএনপির রাজনীতি শুরু করেন। তিনি একবার জিয়া বিগ্রেড কেন্দ্রিয় কমিটি সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি ভালুকা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়কের দায়িত্বে রয়েছেন। এলাকায় সভা সমাবেশ চালিয়ে যাচ্ছেন। ত্রয়োদশ নির্বাচনে তিনি বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী।
(চার) আলহজ্ব মোঃ মুস্তাফিরজুর রহমান মামুন, তিনি তরুন উদ্যেক্তা,শিল্পপতি,ভালুকার গ্রীণ অর্রর্ণ্য পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে সেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রিয় কমিটি ও ভালুকা উপজেলা বিএনপির সদস্য। বিগত আনন্দোল সংগ্রামে মাঠে থেকে ব্যাপক ভুমিকা রেখেছেন।
(পাঁচ) এনসিপি ডাক্তার জাহিদুল ইসলাম গ্রামের বাড়ী ভালুকা উপজেলার ৯ নং কাচিনা ইউনিয়নের বাটাজোর গ্রামে। এলাকায় এর আগে তার নাম শোনা যায়নি। তিনি সদস্য সচিব নাগরিক পার্টি,সদস্য সচিব জাতীয় যুবশক্তি ও সভাপতি যুব আনন্দোলনের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ২০২৪ সালে ফ্যাসিষ্ট বিরোধী আনন্দোলনে নের্তৃত্ব দিয়েছেন। তিনি গনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। ভালুকায় এনসিপির তেমন কোন কার্যক্রম দেখা যায়নি।
(ছয়) ছাইফ উল্লাহ ফজলু তিনি একজ ঠান্ডা মাথার রাজনীতিবিদ জামায়াত ইসলামী থেকে একক প্রাথী হিসেব মাঠে কাজ করছেন। তিনি ভালুকা উপজেলায় জামাতের আমীরের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ছাত্র শিবির দিয়ে রাজনীতি শুরু করেন। ৫ আগস্টের পর জামায়াত ইসলাম আগের চেয়ে অনেক বেশী সংগঠিত হয়েছে। জামায়াত ইসলামের কর্মী সমর্থকরা প্রাথীর পক্ষে নির্বাচনি প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। নির্বাচনকে সামনে রেখে তারাও মিছিল মিটিং করে যাচ্ছেন।
১,আলহাজ্ব মুহাম্মদ মুর্শেদ আলম (বিএনপি)
২,এডভোকেট আনোয়ার অজিজ টুটুল (বিএনপি)
৩,ছাইফুল্লাহ পাঠন ফজলুল হক (জামায়াত)
৪,ডা ঃ জাহিদুল ইসলাম (এনসিপি)
৫,ছাইফ উল্লাহ পাঠান ফজলু (জামায়াত)