খাবার হোটেলের আড়ালে বিক্রি হতো মাদকদ্রব্য, অতঃপর....

এফএনএস (বরিশাল প্রতিবেদক) : | প্রকাশ: ২১ জুলাই, ২০২৫, ০২:০৮ পিএম
খাবার হোটেলের আড়ালে বিক্রি হতো মাদকদ্রব্য, অতঃপর....

ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের পাশ্ববর্তী গৌরনদী উপজেলার কটকস্থল বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন ফাতেমা হোটেলের আড়ালে দীর্ঘদিন থেকে বিক্রি হচ্ছিলো বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য। এমনকি ওই হোটেলের মধ্যে বসেই এসব মাদক সেবন করা হতো।

অবশেষে গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে ওই খাবার হোটেলে দীর্ঘ আড়াই ঘন্টা অভিযান চালিয়ে ইয়াবা, গাঁজাসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধারসহ দুইজনকে আটক করা হয়েছে। সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. তরিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের গৌরনদী সার্কেলের এসআই ফাইজুল ইসলাম হৃদয় বাদি হয়ে আটক মাদক ব্যবসায়ী মানিক মাঝি, হোটেলের ম্যানেজার উত্তম কুমার বনিক ও পালিয়ে যাওয়া মাদক ব্যবসায়ী হোটেল কর্মচারী জাহাঙ্গীর ওরফে সাগরকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় আটককৃতদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

এরপূর্বে রোববার (২১ জুলাই) দিবাগত রাত নয়টার দিকে ওই হোটেলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাজিব হোসেনের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর এবং গৌরনদী মডেল থানার একটি টিম উপস্থিত ছিলেন।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গোয়েন্দা বিভাগের চোখ ফাঁকি দিয়ে হোটেল ব্যবসার আড়ালে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলো দক্ষিণাঞ্চলের শীর্ষ মাদক সম্রাট হিরা মাঝির ভাই মানিক মাঝি। রহস্যজনকভাবে বিষয়টি দীর্ঘদিন অজানা থাকলেও এবার আর শেষ রক্ষা হয়নি। গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে ওই হোটেলে সাহসী অভিযান পরিচালনা করে প্রশংসায় ভাসছেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাজিব হোসেন।

তবে অভিযান শুরুর কয়েক মিনিট পূর্বে ওই হোটেলের কর্মচারী জাহাঙ্গীর ওরফে সাগরকে কৌশলে পালিয়ে যায়। ধারনা করা হচ্ছে মাদকের বড় চালান নিয়ে সে  পালিয়ে গেছে। তবে এ অভিযানে ৪৯ পিস ইয়াবা, একশ’ গ্রাম গাঁজা, মাদক ক্রয়-বিক্রয়ের হিসাবের খাতা, মাদক বিক্রয়ের নগদ টাকা এবং মাদকদ্রব্য সেবনের বিপুল পরিমান সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়। 

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাজিব হোসেন বলেন, উপজেলা প্রশাসন থেকে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স যোষণা দিয়ে তারা মাঠে নেমেছেন। জনস্বার্থে মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে। 

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে