টেস্ট ক্রিকেটের সর্বোচ্চ মঞ্চ—বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের (ডব্লিউটিসি) আগামী তিনটি ফাইনালই অনুষ্ঠিত হবে ইংল্যান্ডে। ভারতসহ অন্যান্য দেশের আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও ২০২৭, ২০২৯ ও ২০৩১ সালের ফাইনালের আয়োজক হিসেবে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডকেই (ইসিবি) চূড়ান্ত করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত সংস্থাটির বার্ষিক সভায় এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন পায়।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চালু হয় ২০১৯ সালে, টেস্ট ক্রিকেটকে আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এবং আকর্ষণীয় করে তুলতে। র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ ৯টি দল হোম ও অ্যাওয়ে ভিত্তিতে সিরিজ খেলে। এরপর শতকরা পয়েন্টে এগিয়ে থাকা শীর্ষ দুই দল নির্ধারিত ভেন্যুতে খেলছে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ।
এখন পর্যন্ত তিনটি আসরের ফাইনালই হয়েছে ইংল্যান্ডে। ২০২১ সালে সাউদাম্পটনের রোজ বোলে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জেতে নিউজিল্যান্ড। ২০২৩ সালে ওভালে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় অস্ট্রেলিয়া। আর সর্বশেষ ফাইনালে, জুন মাসে লর্ডসে দক্ষিণ আফ্রিকা অস্ট্রেলিয়াকে ৫ উইকেটে হারিয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চ্যাম্পিয়ন হয়। এটি ছিল প্রোটিয়াদের দীর্ঘ ২৭ বছর পর কোনো আইসিসি ট্রফি জয়ের স্বাদ—শেষবার তারা শিরোপা জিতেছিল ১৯৯৮ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে।
আগামী আসরগুলোর ফাইনালের আয়োজক হিসেবে ইংল্যান্ডকেই চূড়ান্ত করার পেছনে আইসিসি বলেছে—সাম্প্রতিক ফাইনাল আয়োজনের সফলতা, ইংল্যান্ডের অনুকূল জুন মাসের আবহাওয়া এবং নিরপেক্ষ দর্শকের উপস্থিতি সিদ্ধান্ত গ্রহণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। উল্লেখযোগ্য যে, ফাইনালে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর কেউই স্বাগতিক ইংল্যান্ড ছিল না, কিন্তু গ্যালারিতে ছিল উপচে পড়া দর্শক—যাদের বড় একটি অংশ ছিল অংশগ্রহণকারী দলের সমর্থক এবং স্থানীয় টেস্টপ্রেমী দর্শক।
ইসিবির প্রধান নির্বাহী রিচার্ড গুল্ড বলেন, ‘এটি আমাদের দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের টেস্ট ক্রিকেটের প্রতি গভীর ভালোবাসা এবং বিশ্বজুড়ে সমর্থকদের ইংল্যান্ডে ম্যাচ দেখতে আসার আগ্রহেরই প্রমাণ। এই ফাইনালগুলো আয়োজন একটি বিশেষ সুযোগ, আর আমরা আগের সফলতাকে আরও এগিয়ে নিতে আইসিসির সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী।’
আগামী চক্র (২০২৫–২৭) এর টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের খেলা এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে। শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে শুরু হয় এই চক্র, যা অনুষ্ঠিত হয় গলে, জুন মাসে।
এবারের আইসিসি সভায় আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ছিল জাম্বিয়া ও পূর্ব তিমুরকে সহযোগী সদস্যের মর্যাদা দেওয়া। এতে আইসিসির সহযোগী সদস্য দেশের সংখ্যা দাঁড়াল ১১০।