কালীগঞ্জে ৩৫ গ্রামের মানুষের ঝুকি নিয়ে চলাচল

এফএনএস (টিপু সুলতান; কালীগঞ্জ, ঝিনাইদহ) : | প্রকাশ: ২২ জুলাই, ২০২৫, ১২:০৬ পিএম
কালীগঞ্জে ৩৫ গ্রামের মানুষের ঝুকি নিয়ে চলাচল

ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের দুই ইউনিয়নের জনসাধারনের চলাচলের একমাত্র ভরসা বাশ কাঠের সাঁকো। তাদের চলাচল করতে হচ্ছে মারাত্নক ঝুকি নিয়ে। এলাকার জনসাধারন রাত-দিন যাতায়াতের জন্য একমাত্র ভরসা। স্বাধীনতার পর থেকে এই জনপদে বসবাসরত দুই ইউনয়নের অন্তত ৩৫ গ্রামের স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রী ও কৃষকসহ হাজার হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে নিমানাধীর ব্রিজের কাজ সমাপ্ত না হওয়ার কারনে। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের গাফলতির কারনে ব্রিজের কাজ দীর্ঘদিন ধোরে কাজ শেষ না হওয়ার কারনে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন না হওয়ায় অনেক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছে এই জামাল ও কোলা ইউনিয়নের বাসিন্দা।

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার কোলা ইউনিয়র ও জামাল ইউনিয়র সংযোগস্থলে থাকা পুরাতন ব্রিজটি ভেঙে নতুন ব্রিজ নির্মাণের কাজ শুরু হলেও দীর্ঘদিন ধরে তা ধীরগতিতে চলছে। ফলে এই অঞ্চলের প্রায় ৩৫ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের চলাচলে চরম দুর্ভোগে পরিনত হয়েছে।পুরাতন ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় জননিরাপত্তার স্বার্থে সেটি ভেঙে ফেলা হয়। কিন্তু নতুন ব্রিজ নির্মাণে কর্তৃপক্ষ ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারণে নির্মাণ কাজ সঠিক ভাবে দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে না। কাজের গতি এতটাই ধীর যে বছরের পর বছর পেরিয়েযাচ্ছে,তবু ব্রিজের কাজ এখনো সমাপ্ত করতে পারেনি।দুই ইউনিয়নের জনসাধারনের চলাচলের জন্য একটি বাশ কাঠের সাঁকো তৈরি করে দিয়েছিল। সেটিও একাধিকবার সংস্কার করার পর ভারি বর্ষার পানিতে ভেসে গেছে। বর্তমানে সাঁকো না থাকায় জনসাধারন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সর্বসময় চলাচল করছে।বেগবতি নদীর পানি বৃদ্ধির কারনে সাকোর দুই পাশ ভেঙ্গে যাচ্ছে ও পানির স্রোত বৃদ্ধি পেয়েছে। সেতুর উপর দিয়ে প্রবল স্রোতের কারনে কাঠের সেতু ভেঙ্গে গেছে।

বেগবতী নদীর ওপর নির্মাণাধীন সেতুর জন্য বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত সড়ক এখন জনসাধারনের নতুন কারণ হয়েছে। ভারি বৃষ্টির পানির কারণে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে আশপাশের ৩৫ গ্রামের মানুষ। বিশেষ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাজের ধীরগতির কারণে সেতুর কাজ এখন পর্যন্ত শেষ করতে পারেনি। ঠিকাদার ২০ মাসে ও ব্রীজের কাজ শেষ করতে পারেনি।বেগবতী নদীর ওপর কোলাবাজার এলাকায় ৪ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয় ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে। সেতুটির কাজ করছেন মেসার্স জাকাউল্লাহ, শামিম অ্যান্ড ব্রাদার্র্স,মেসার্স মিজানুর রহমান ট্রেডার্স যৌথভাবে কাজ করছে। সেতুর নির্মাণকাজ ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে শেষ করার কথা।সেতুর দুই পাশের দুটি পাইলিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে এবং জামাল ও কোলা ইউনিয়নের জনসাধারনের জলাচলের জন্য বিকল্প সড়ক তৈরি করা হয়েছে বাশ ও কাঠ দিয়ে।ভারি বৃষ্টির কারণে বিকল্প সড়কটি ভাঙন দিয়েছে বলে চলাচলকারিরা জীবনের ঝুকি নিয়ে চলাচল করছে।কৃষিনির্ভর এই অঞ্চলে প্রচুর কৃষিপণ্য উৎপাদিত হলেও সময়ম তো পরিবহণের ব্যবস্থা না থাকায় সেগুলো বাজারে পৌঁছানো যাচ্ছে না। ফলে চাষিরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন ও ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। বেগবতি সেতু নির্মাণ না হওয়ায় কয়েক হাজার মানুষ পড়েছেন চরম বিপাকে। টানা বৃষ্টিতে সাঁকোটি উপর পানি ও ভেঙে পড়ায় প্রায় ৩৫ গ্রামের হাজার মানুষ এই সাঁকোর দিয়ে চলাচল করতে পারছে না।এছাড়া স্থানীয় গাড়ি চালকরা মোটর ভ্যান, নসিমন, করিমন, ভ্যান রিকসা চলাচল করতে পারছে না।এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত নাজুক হওয়ায় সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।এলাকার আব্দুল কুদ্দুস বলেন,আমাদের কথা কেউ শোনছে না, কাজ শুরু করে কোন কারন ছাড়াই ঠিকাদার ফেলে রেখেছে এবং কালীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী ও বিষয়টি আমলে নিচ্ছে না।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে