ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার ক্রিকেটীয় প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুধু খেলার মাঠেই নয়, বহু সময় রাজনৈতিক উত্তেজনার প্রতিচ্ছবিও হয়ে ওঠে। ‘ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অফ লিজেন্ডস’-এ এমনই একটি বহুল প্রতীক্ষিত ম্যাচ ভারতের আপত্তিতে বাতিল হওয়ায় এবার প্রকাশ্যে ক্ষোভ ঝাড়লেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক সালমান বাট। ভারতীয় খেলোয়াড়দের একতরফা সিদ্ধান্ত এবং আয়োজকদের নমনীয়তা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন।
শুক্রবার (১৯ জুলাই) পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের আপত্তিতে বাতিল হয় ভারত-পাকিস্তান লিজেন্ডসদের ম্যাচটি। এই আপত্তির প্রেক্ষিতে হরভজন সিং, সুরেশ রায়না, শিখর ধাওয়ান, ইউসুফ পাঠান ও ইরফান পাঠান খেলায় অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দেন। আয়োজকরা ম্যাচটি বাতিল করে দেন এবং খেলোয়াড়রাও ভারতের সমর্থকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন।
এই ঘটনার জেরে সালমান বাট তার ইউটিউব চ্যানেলে বলেন, “যদি ভারত সত্যিই দেশপ্রেম আর রাজনীতির দোহাই দেয়, তাহলে সেটা প্রমাণ করুক বিশ্বকাপ কিংবা অলিম্পিকে পাকিস্তানের সঙ্গে না খেলে। শুধু লিজেন্ডস ম্যাচ বয়কট করে দেশপ্রেম দেখানো যায় না। খেলাধুলার সঙ্গে রাজনীতি মেশানো উচিত নয়।”
তিনি আরও বলেন, “চার-পাঁচজন খেলোয়াড়ের সিদ্ধান্তে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ বাতিল হওয়া দুঃখজনক। আয়োজকদের কি এতটাই চাপ ছিল? এভাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করা যায় না। আয়োজকদের উচিত ছিল দৃঢ়তা দেখানো।”
শুধু সালমান বাটই নন, পাকিস্তানের লিজেন্ডস দলের অধিনায়ক শাহিদ আফ্রিদিও প্রতিক্রিয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। শিখর ধাওয়ানকে ‘পচা ডিম’ বলে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “ধাওয়ানের চাপে বাকিরা খেলা থেকে সরে দাঁড়িয়েছে। অনেকেই খেলতে চেয়েছিল।”
সালমানের বক্তব্যে উঠে আসে আরেকটি বার্তা— “ভারত যদি বারবার রাজনীতিকে খেলাধুলার সঙ্গে জড়ায়, তাহলে ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক আসরেও দুই দেশের মুখোমুখি হওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দেবে।”
এই ঘটনা ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেটীয় সম্পর্কের বর্তমান প্রেক্ষাপটে নতুন করে উত্তেজনার জন্ম দিয়েছে। বিশ্বকাপ কিংবা অলিম্পিকের মতো বড় মঞ্চে দুই দেশের সাক্ষাৎ আবার কতটা সম্ভব হবে— তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন বিশ্লেষকরা।