বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার সরসপুর গ্রামে পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে ইমন শেখ (১৬) নামে এক কিশোরকে নৃশংসভাবে মারধরের অভিযোগ উঠেছে আপন আত্মীয়দের বিরুদ্ধে। মারধরের ফলে রক্তবমি শুরু হলে তাকে প্রথমে মোল্লাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ভুক্তভোগী ইমন শেখের বড় ভাই মোঃ আল আমিন জানিয়েছেন, গত ২৪ জুন ২০২৫ তারিখে তাদের একটি ছাগল মামা শাহানুর শেখ ও ফুফু কহিনূর বেগম দম্পতির বাড়িতে যায়। ছাগলটিকে তারা বেধড়ক মারধর করে তাড়িয়ে দেয়। এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে ইমনের নানী ও মা’কে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন তার মামা, ফুফু ও মামাতো ভাই রনি শেখ।
এ সময় ইমন ঘর থেকে বেরিয়ে মারধরের কারণ জানতে চাইলে তাকেও মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয়। এক পর্যায়ে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে। মারধরের তীব্রতায় ইমনের রক্তবমি শুরু হলে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রাথমিক চিকিৎসার পর হামলাকারীরা মিমাংসার আশ্বাস দিয়ে জোরপূর্বক ইমনকে বাড়িতে নিয়ে আসে। বাড়িতে নেওয়ার পর তার অব-’ার আরও অবনতি হলে আবারো তাকে মোল্লাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে রেফার করা হয় উন্নত চিকিৎসার জন্য।
এই ঘটনার পরদিনই ইমনের ভাই মোঃ আল আমিন মোল্লাহাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তবে অভিযোগ দায়েরের প্রায় এক মাস হলেও এখনো থানা পুলিশ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় হামলাকারীরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয়ভাবেও কোনো সমঝোতা হয়নি বরং হামলাকারীরা এখনো বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইমনের পরিবার। এ বিষয়ে অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তার মুঠোফোনে বার বার কল করলেও রিসিভ না করায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি, দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে যথাযথ বিচার নিশ্চিত করা হোক এবং পরিবারটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক।