দেশজুড়ে ডেঙ্গু সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে থাকলেও নতুন রোগীর সংখ্যা থেমে নেই। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার (২৫ জুলাই) দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ১৬৪ জন। তবে এই সময়ের মধ্যে কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, নতুন রোগীদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৬০ জন, চট্টগ্রামে ১৯ জন, ঢাকার সিটি এলাকার বাইরের অঞ্চলে ১৯ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১১ জন, দক্ষিণ সিটিতে ২৯ জন, খুলনায় ১০ জন এবং রাজশাহীতে ১৬ জন রয়েছেন।
একই সময়ে সারা দেশের হাসপাতালগুলো থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ১৬৪ জন ডেঙ্গু রোগী। চলতি বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট ১৮ হাজার ৭৮৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৭ হাজার ৪১১ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে দেখা যাচ্ছে, এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে বেশি—প্রায় ৫৮ দশমিক ৬ শতাংশ। নারী রোগীর হার ৪১ দশমিক ৪ শতাংশ। এখন পর্যন্ত মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭০ জনে।
স্মরণযোগ্য যে, ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ১ হাজার ২১৪ জন এবং মারা গেছেন ৫৭৫ জন। আর ২০২৩ সালে এই সংখ্যা ছিল আরও ভয়াবহ—সেই বছর মারা যান ১ হাজার ৭০৫ জন এবং আক্রান্ত হন ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।
সরকারি পর্যায়ে একাধিক প্রচার, পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও সিটি কর্পোরেশনের নিয়মিত ফগিং কার্যক্রম সত্ত্বেও বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গু সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখা এখনো বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিটি নাগরিককে ব্যক্তিগতভাবে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে এবং পানি জমে থাকার সম্ভাব্য স্থানগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে।