তাহিরপুরে জেলা শ্রমিক লীগের সম্পাদক বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য

এফএনএস (আবুল কাশেম মোঃ মহিম; সুনামগঞ্জ) :
| আপডেট: ২৬ জুলাই, ২০২৫, ০২:২৬ পিএম | প্রকাশ: ২৬ জুলাই, ২০২৫, ০২:২৬ পিএম
তাহিরপুরে জেলা শ্রমিক লীগের সম্পাদক বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়েছে। শুক্রবার রাতে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক বাদল মিয়া ও প্রথম যুগ্ম আহ্বায়ক সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জুনাব আলীর স্বাক্ষরিত দলীয় প্যাডে এসব কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।

প্রত্যেক ইউনিয়নে ১১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়, যার মধ্যে একজন আহ্বায়ক, একজন সদস্য সচিব ও ৯ জন সদস্য রয়েছেন।

সদর ইউনিয়ন: আহ্বায়ক - সাইদুল কিবরিয়া, সদস্য সচিব - সফি আলম,বালিজুরী ইউনিয়ন: আহ্বায়ক - আছব্বির আলী খাঁ, সদস্য সচিব - আমিরুল ইসলাম, বাদাঘাট ইউনিয়ন: আহ্বায়ক - মঞ্জুর আলী, সদস্য সচিব - নজরুল ইসলাম সিকদার, বড়দল উত্তর ইউনিয়ন: আহ্বায়ক - রফিকুল ইসলাম, সদস্য সচিব - নজরুল ইসলাম শাহ. বড়দল দক্ষিণ ইউনিয়ন: আহ্বায়ক - বশির মিয়া, সদস্য সচিব - আব্দুস সালাম, শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়ন: আহ্বায়ক - লায়েছ মিয়া, সদস্য সচিব - মোশাহিদ আলী, শ্রীপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন: আহ্বায়ক - গোলাম নুর, সদস্য সচিব - শামীম আহমদ।

কমিটি ঘোষণার পর বড়দল দক্ষিণ ইউনিয়নের একটি নাম ঘিরে শুরু হয় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। জানা যায়, ওই কমিটির সদস্য হিসেবে স্থান পেয়েছেন জিল্লুর রহমান, যিনি ২০১৮ সালে সুনামগঞ্জ জেলা শ্রমিক লীগের কমিটিতে শ্রমিক কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। পাশাপাশি তিনি দক্ষিণ বরদল ইউনিয়ন আওয়ামী লীহের যুগ্ম সম্পাদক। এছাড়াও তাঁর বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগ মনোনীত এমপি প্রার্থীদের সঙ্গে ছবি ও সংশ্লিষ্টতায় রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

বিএনপির ত্যাগী নেতাকর্মীরা বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। বিশেষ করে “জিল্লু মাল দে!”-এই ধরনের স্ট্যাটাস ও মন্তব্যে ফেসবুক ভরে উঠেছে। নেতাকর্মীদের প্রশ্ন, একজন সক্রিয় শ্রমিক লীগ নেতা কিভাবে বিএনপির ইউনিয়ন কমিটিতে স্থান পেল?

এ বিষয়ে সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য (স্বাক্ষর ক্ষমতাপ্রাপ্ত) এডভোকেট আব্দুল হক বলেন, “যদি এমন কোনো কিছু হয়ে থাকে, তাহলে আমরা সেটা মেনে নেবো না। তাকে কমিটি থেকে বাতিল করা হবে এবং উপজেলা কমিটির কাছে তার জবাবদিহিতা চাওয়া হবে।”

বিএনপির একাধিক ত্যাগী নেতা মনে করছেন, দল পুনর্গঠনের নামে ভুলভাবে কিছু বিতর্কিত ব্যক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করা হলে তা দীর্ঘমেয়াদে দলের ভাবমূর্তিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তারা দলীয় শুদ্ধিকরণের আহ্বান জানান।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে