নীলফামারীর সৈয়দপুরে ইট রাখা নিয়ে পারিবারির দ্বন্দ্বে যাতায়াতের রাস্তা কেটে দিলেন প্রতিবেশী আবোর আলী। ২৫ জুলাই রাতে ওই রাস্তা কেটে গভীর খালে পরিণত করা হয়। ফলে ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে পারছেন না এলাকার প্রায় চারশো মানুষ। পাশাপাশি ওই এলাকার খেটে খাওয়া মানুষ তাদের কর্মনির্ভর অটো,ভ্যান ও রিকসা নিয়ে পার হতে না পেরে পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। এটি ঘটেছে পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ড হাজী পাড়ায়।
এলাকার আইনুল হক জানান, ইয়াসমিনের জায়গায় প্রায় তিন বছর থেকে ইট রেখেছেন প্রতিবেশী আবোর আলী। অথচ পাশেই রয়েছে আবোর আলীর নিজের জায়গা। তিনি নিজের জায়গায় ইট না রেখে অন্যের জায়গায় কেন ইট রাখলেন তা নিয়ে এলাকার লোকজনের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্ঠি হয়েছে। ওই ব্যক্তিকে ইট সরানোর কথা বললে তিনি গায়ে পড়ে ঝগড়া লাগান। এলাকার কারো কথা তিনি কর্ণপাত করেন না। এ ঘটনায় হঠাৎ তিনি ইয়াসমিনের বাড়ীর বেড়াচাটি ভেঙ্গে দেন। প্রাণে মেরে ফেলবেন এমন হুমকীও দেয়া হয়।
ওই জের ধরে আবোর আলী চলাচলের রাস্তা কেটে দেন। বর্তমানে ওই পথে বন্ধ রয়েছে যাতায়াত।
এলাকার অটো চালক বাবুল আক্তার,মাখম আলী,ভ্যানচালক সাবদুল বলেন,আমরা গাড়ী নিয়ে যেতে পারছি না। যদি রাস্তা নিজেরাই ঠিক করি তাহলে আবোর আলী আমাদেরকে দেখে নেবে এমন হুমকী দেয়। তাই সবাই ভয়ে বাড়ীতে বসে আছি।
মাখম আলীর স্ত্রী জয়া রানী বলেন,কাজ না করলে পেটে ভাত যায় না। রাস্তাটি কেটে দেয়ায় আমার স্বামী বাড়ীতে বসে আছে। কর্ম না করলে আমরা খাব কি।
এলাকার লোকজন চলাচলের বন্ধ রাস্তাটি দ্রুত সময়ে চালুকরণের দাবি জানান। এ বিষয়ে তারা জেলা প্রশাসক এর দৃষ্টি কামনা করেছেন। সঙ্গে যিনি এমন ন্যাক্কারজনক কাজটি করেছেন তার শাস্তি দাবি করেন।
চলাচলের রাস্তা কাটার বিষয়ে সৈয়দপুর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, কেউ মানুষের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করতে পারে না। এমন যদি হয়ে থাকে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।