২২ ডিসেম্বর আগৈলঝাড়া-গৌরনদী উপজেলা হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর দেশের সর্বত্র বিজয় ঘোষিত হলেও এর ৬দিন পর আজকের এই দিনে বিজয়ের পতাকা উড়েছিল বরিশালের আগৈলঝাড়া ও গৌরনদীতে। আজ ২২ডিসেম্বর আগৈলঝাড়া-গৌরনদী উপজেলা পাকহানাদার মুক্ত হয়। এই অঞ্চলের বীর মুক্তিযোদ্ধাগন জানিয়েছেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে সর্ব প্রথম সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, প্রযাত এ্যাড.আ.করিম সরদার এমএলএ’র উদ্যোগে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী গঠন করা হয়। ওই দলের প্রধান ছিলেন মতিয়ার রহমান তালুকদার। তার সহযোগী ছিলেন প্রয়াত নুর মোহাম্মাদ গোমস্তা। পাশ্ববর্তী উপজেলা কোটালীপাড়ার হেমায়েত উদ্দিনের নেতৃত্বে গঠন করা হয় হেমায়েত বাহিনী। হেমায়েত ও তার বাহিনী আগৈলঝাড়া-রামশীল-পয়সারহাট-সিকিরবাজার এলাকায় পাকবাহীনির সাথে সম্মুখ যুদ্ধে অংশ গ্রহন করেন। সর্বশেষ মুজিব বাহিনীর একটি দল ভারত থেকে ট্রেনিং শেষে আগৈলঝাড়া-গৌরনদীতে এসে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহন করেন। ওই দলের নেতৃত্বে ছিলেন সাবেক চীপ হুইপ আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ। এছাড়াও বীর মুক্তিযোদ্ধা রকিব সেরনিয়াবাত, ফজলুর রহমান হাওলাদার ও মেজর শাহ আলম তালুকদার ছিলেন তার সহযোগী। বরিশালের বিভিন্ন এলাকায় পাকসেনারা মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে ১৬ ডিসেম্বরের পূর্বে আত্মসমর্পন করলেও এ এলাকায় পাক সেনারা দীর্ঘ ২৮দিন যুদ্ধের পরে ২২ ডিসেম্বর গৌরনদীতে মিত্র বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে। দীর্ঘ ২৮দিন মুক্তি বাহিনী ও মুজিব বাহিনীর যৌথ আক্রমণের পর বাধ্য হয়ে এই দিন শতাধিক পাকসেনা মিত্রবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল। ফলে বাংলাদেশের সর্বশেষ হানাদারমুক্ত এলাকা হল আগৈলঝাড়া-গৌরনদী উপজেলা। বিজয়রে এই দিনটি পালনের জন্য উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহন করেছে।