বাসন্তী বালিকা স্কুলে দুর্নীতির ‘বরশিক্ষক’

এফএনএস (রুপম ভট্টাচার্য; চট্টগ্রাম) : | প্রকাশ: ২৯ জুলাই, ২০২৫, ০১:৩৮ পিএম
বাসন্তী বালিকা স্কুলে দুর্নীতির ‘বরশিক্ষক’

চট্টগ্রাম নগরের দক্ষিণ কাট্টলী এলাকার বাসন্তী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রূপন কুমার পাল। তিনি যেন দুর্নীতি-অনিয়মের 'বরশিক্ষক' হয়ে ওঠেছেন! তার বিরুদ্ধে সহকর্মীদের কাছ থেকে টাকা দাবি, অর্থ আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অনিয়মের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। এসব ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ করেও কোনো কাজ হয়নি।বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক, অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক নিয়মবহির্ভূতভাবে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে অর্থ দাবি করে তা আদায় করেছেন। বিশেষ করে এমপিওভুক্তির জন্য সহকারী শিক্ষকদের কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা করে দাবি করেন। সবশেষ ৩৫ হাজার টাকা করে আদায় করেন; যা বিদ্যালয়ের কোনো ফান্ডে জমা হয়নি।এছাড়া শিক্ষার্থীদের ছাড়পত্র প্রদানের ক্ষেত্রেও তিনি অতিরিক্ত ৫ হাজার টাকা করে আদায় করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। নবম শ্রেণির ছাত্রী সামিয়া নিশাত বন্যা ও সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী প্রকৃতি দাশের অভিভাবকদের কাছ থেকে এই ধরনের টাকা নেওয়া হয় বলে জানা গেছে।এ বিষয়ে সহকারী শিক্ষক আবদুল্লাহ আল রিদোয়ান, পাপিয়া সুলতানা ও পাপিয়া সিংহ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি জসীম উদ্দীনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের অনুলিপি চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং জেলা শিক্ষা অফিসারের কাছেও পাঠানো হয়।তাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে অনিয়মের বিষয়গুলো বিভিন্ন দপ্তরে জানানো হলেও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি জসীম উদ্দীন বলেন, ‘আমি কিছু অভিযোগের কথা শুনেছি। বিস্তারিত খতিয়ে দেখব। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’অন্যদিকে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক রূপন কুমার পাল নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, ‘একটি পক্ষ আমি প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বগ্রহণের পর থেকে আমার বিরুদ্ধে নানাভাবে ষড়যন্ত্র করে আসছে। হয়রানি করার জন্য পরিকল্পিতভাবে এসব অপপ্রচার চালাচ্ছে।’তবে বিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো সত্য এবং আরও অনেক দুর্নীতির ঘটনা রয়েছে যা প্রকাশ পায়নি।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে