কটিয়াদীতে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সহকারী শিক্ষকের সংবাদ সম্মেলন

এফএনএস (মোঃ রফিকুল হায়দার টিটু; কটিয়াদী, কিশোরগঞ্জ) : | প্রকাশ: ৩০ জুলাই, ২০২৫, ০৫:৪১ পিএম
কটিয়াদীতে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সহকারী শিক্ষকের সংবাদ সম্মেলন

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার বেথইর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাদেকা ইয়াসমিনের অপকর্ম ও দুর্নীতি আড়াল করতে এবং তদন্ত কার্যক্রম ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে সহকারী শিক্ষক মোসাঃ তাহমিনা রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে মোসাঃ তাহমিনা রহমান এক সম্মেলন করেন। বুধবার সকালে কটিয়াদী বাজারে স্বপ্নকুঞ্জ কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদ কর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন। 

লিখিত বক্তব্যে তাহমিনা রহমান বলেন, ২০১৩ সনে অত্র প্রতিষ্ঠানে যোগদানের পর আমিসহ অত্র বিদ্যালয়ে পাঁচজন শিক্ষক কর্মরত আছি। যোগদানের পর থেকেই প্রধান শিক্ষক আমার সাথে বিমাতা সুলভ আচরণ শুরু করেন।  প্রধান শিক্ষক নিজে ক্লাস ফাঁকি দেন। টিফিনের সময় নিয়ম করে বাড়ি যান। স্কুলের ল্যাপটপ পারিবারিক ভাবে ব্যবহার করেন। নিজের স্বজনদের নিয়ে ম্যানেজিং কমিটি গঠন করেন। আমাকে কমিটিতে রাখেন না এবং প্রাক প্রাথমিকের জন্য বরাদ্দ প্রয়োজনীয় উপকরণও দেন না। স্লিপ ও ক্ষুদ্র মেরামতের টাকা ভূয়া ভাউচারের মাধ্যমে উত্তোলন করেন। তাঁর বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন যাবত উপজেলা সহকারি শিক্ষা অফিসার, শিক্ষা অফিসার ও জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবরে মৌখিক অভিযোগ করে আসলেও দলীয় প্রভাবের কারণে তিনি তাদেরকে ম্যানেজ করে নেন। কেউ এর প্রতিকার করেননি। গত ৩০জুন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, কিশোরগঞ্জ বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত আসলে অভিভাবকগণ প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতা, বিদ্যালয়ের লেখাপড়ার মান নিম্নগামী হওয়া, বিধি মোতাবেক বিদ্যালয় পরিচালনা না করা এবং প্রাপ্ত বাজেট সঠিক ভাবে বাস্তবায়ন না করার বিষয়গুলো তুলে ধরেন বলে উল্লেখ করেন।  তিনি আরো বলেন, প্রধান শিক্ষক উল্টো আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সংবাদ পত্রে মিথ্যা সংবাদ করিয়েছেন। সেখানে তদন্ত চলাকালীন সময়ে আমার পিতা ঘটনাস্থলে থেকে প্রভাব বিস্তার করেছেন এবং রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর আমার স্বামী অন্যত্র বদলী হয়েছেন উল্লেখ করা হয়, বিষয়গুলো সঠিক নয়। এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানোর জন্যই এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ ও মানসিক নির্যাতন থেকে আমাকে মুক্ত করতে এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান উর্ধ্বমুখী করার ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট দাবী জানান। এ সময় তার পাশে বোন উম্মে আইমন, ভাগ্নি শাহরিন, শ্বাশুরী ফাতেমা এবং অভিভাবক সুমা আক্তার উপস্থিত ছিলেন।  

সংবাদ সম্মেলন বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. রফিকুল ইসলাম তালুকদারের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্কুল চলাকালীন সময়ে কোন শিক্ষক সংবাদ সম্মেলন করছেন এমন বিষয় আমার জানা নেই। তাহমিনা রহমানের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, অভিযোগটি তদন্তাধিন আছেন। তবে তাহমিনা রহমান ইতি পূর্বে কার কাছে কি অভিযোগে দিয়েছেন বিষয়গুলো খতিয়ে দেখতে হবে। 

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে