ঝালকাঠির রাজাপুর উত্তমপুর গুচ্ছগ্রাম এলাকায় দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিশু শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে আদর্শগ্রাম নূরানী মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও শিক্ষক শাহাদাৎ হোসেনের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (২৮জুলাই) বিকালে মাদ্রাসায় কোচিংএ পড়তে গেলে শিক্ষক শাহাদাৎ হোসেন ওই শিক্ষার্থীর উপড় যৌন নিপীড়ন চালায় বলে জানিয়েছি শিশুটির মা। ঘটনার পর বৃহস্পতিবার মাদ্রাসায় হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। এ ঘটনায় রাজাপুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে। অপরদিকে জমি সংক্রান— বিরোধে তাদের বিরুদ্ধে এ অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে জানিয়েছেন শাহাদাৎ হোসেনের পরিবার।
শিশুটির পরিবার ও স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার বিকেলে প্রচন্ড বৃষ্টি হওয়ায় মাদ্রাসার কোচিংএ ৪ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলো। তাদের মধ্যে ২ জনকে ছুটি দিয়ে বাকি ২ জনকে মাদ্রাসায় রেখে দেয় অভিযুক্ত শিক্ষক। এদের মধ্যে একজন ছেলে ও ভুক্তভোগী ঐ শিক্ষার্থী ছিলো। অভিযুক্ত শিক্ষক ছেলেটিকে কৈশলে মাদ্রাসার রুম ঝাড়ু দিতে পাঠিয়ে শিশু শিক্ষার্থীকে তার কোলের উপড় বসিয়ে অশালীন আচারন করে। এ সময় মাদ্রাসার পাশে বিল্ডিং এর একটি কক্ষ থেকে একটি মেয়ে সে দৃশ্য দেখে ফেলে। পরে শিক্ষক ঐ শিক্ষার্থীকে তার মাদ্রাসার বিশ্রাম কক্ষে নিয়ে গিয়ে যৌন নির্যাচন চালায়। এ সময় শিশুটি চিৎকার করলে তাকে একটি ট্যাবলেট খাইয়ে দিয়ে তার মুখের ভিতরে কাপড় ডুকিয়ে দিয়ে আবারো যৌন নির্যাচন চালায়। এরপরে কক্ষটি তালা দিয়ে অন্যত্র চলে যায় অভিযুক্ত ঐ শিক্ষক। পরে শিশুটি চিৎকার করলে অপর শিক্ষার্থী ঐ কক্ষের তালা খুলে তাকে বাহিরে বের করে নিয়ে আসে। এ ঘটনা জানাজানি হলে স্থানীয়রা ক্ষিপ্ত হয়ে মাদ্রাসায় ভাংচুর চালায়। এর আগেও অভিযুক্ত এই শিক্ষক কয়েকবার শিশু শিক্ষার্থীদের সাথে অশালীন আচরণ করেছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে শিক্ষক শাহাদাৎ হোসেন তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে তারা আমাকে ফাঁসাতে এবং আমার প্রতিষ্ঠানকে শেষ করে দেয়ার জন্য ষড়যন্ত্র করছে।
এ ব্যাপারে রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন জানায়, খবরপেয়ে উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।