আমরা নিজেদের শাসক হিসেবে মনে করতাম, আমরা তাদের সেবা দানকারী হিসেবে দেখতে চাই। আমরা চাই যে, মানুষের নিরাপত্তা, মানবাধিকার, শিশুদের প্রতি সচেতনতাবোধ, বৃদ্ধদের প্রতি সচেতনতাবোধ এবং নাগরিকের যে সব দায়িত্ব-কর্তব্য রয়েছে, আইনি ভাবে যে সব সেবা পাইতে পারেন, সেই সব সেবাগুলোকে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার পদ্ধতি এবং প্রক্রিয়া এখানে অন্তর্ভুক্ত করছি।
নাটোরের লালপুর থানা ‘সেবাধর্মী থানা হিসাবে এর কার্যক্রমের উদ্বোধন কালে রাজশাহী বিভাগের উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) মোহাম্মদ শাহজাহান, পিপিএম (বার), পিএইচডি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আমরা ৫ আগস্টের (২০২৪) পর পুলিশের যে গুণগত পরিবর্তন হয়েছে, সেই পরিবর্তনটা আমরা প্রতিষ্ঠা করতে চাই। আমরা কাজে দেখাতে চাই পুলিশ কতটা পরিবর্তন হয়েছে।
থানা সূত্রে জানা যায়, নাটোরের লালপুরে ১৮২৭ সালে প্রথম একটি পুলিশ ফাঁড়ি বসানো হয়। প্রতিষ্ঠার ১৯৮ বছর পর সেবার মান বৃদ্ধিতে ‘লালপুরকে ‘সেবাধর্মী থানা হিসাবে এ কার্যক্রমের ঘোষনা করলেন বাংলাদেশ পুলিশ প্রশাসন।
শুক্রবার (১ আগস্ট ২০২৫) এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন, রাজশাহী বিভাগের উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) মোহাম্মদ শাহজাহান, পিপিএম (বার), পিএইচডি। এসময় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন বালিতিতা থানা মসজিদের ইমাম হাফেজ মো: মতিউর রহমান।
এরপর এ উপলক্ষে থানার মিলনায়তনে নাটোর জেলা পুলিশের আয়োজনে পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আমজাদ হোসাইনের (পিপিএম) সভাপতিত্বে ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়। ব্রিফিংয়ে প্রধান অতিথি রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মোহাম্মদ শাহজাহান আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় সকল পুলিশ সদস্যকে মনোযোগ সহকারে কাজ করার আহ্বান জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতেখার আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মাহমুদা শারমিন নেলি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মো. একরামুল হক (পিপিএম), গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য ও স্থানীয় সাংবাদিক বৃন্দ। এছাড়াও নাটোর জেলার লালপুর থানার ওসি মমিনুজ্জামান, সদর থানার ওসি মাহবুব, সিংড়া থানার ওসি রফিকুল ইসলাম, গুরুদাসপুর থানার ওসি আসমাউল, বড়াইগ্রাম থানার ওসি সারোয়ার, নলডাঙ্গা থানার ওসি রফিকুল ইসলাম, বাগাতিপাড়া থানার ওসি তদন্ত নাজনিন, আব্দুলপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের আইসি বেনজির আহমেদ সহ পুলিশ সদস্য গন উপস্থিত ছিলেন।
লালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মমিনুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বর্তমানে থানায় নিরাপত্তার দায়িত্বে পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) ১ জন, পরিদর্শক (তদন্ত) ১ জন, উপপরিদর্শক (এসআই) ১১জন, এএসআই ১৩জন এবং ৫৭ জন পুলিশ সদস্য সহ ৮৩ জন পুলিশ সদস্য মানুষের সেবাই নিয়োজিত রয়েছেন। এছাড়াও ওয়ালিয়া ফাঁড়ি ও আব্দুলপুর তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ সদস্য আইন শৃংখলা রক্ষার দায়িত্ব পালন কাজ আসছেন।