পাওনা টাকার জন্য ডেকে নেওয়ার পরে ব্যবসায়ীর বাসায় প্রতিবন্ধী শিক্ষকের মৃত্যু

এফএনএস (মোঃ আরিফুল হক তারেক; মুলাদী, বরিশাল) : | প্রকাশ: ২ আগস্ট, ২০২৫, ১২:২৭ পিএম
পাওনা টাকার জন্য ডেকে নেওয়ার পরে ব্যবসায়ীর বাসায় প্রতিবন্ধী শিক্ষকের মৃত্যু

বরিশালের মুলাদীতে পাওনা টাকার জন্য ডেকে নেওয়ার পরে ব্যবসায়ীর বাসায় প্রতিবন্ধী শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে মুলাদী বন্দরের ব্যবসায়ী ফরিদ উদ্দীন খানের বাসায় এই ঘটনা ঘটে। মৃত প্রতিবন্ধী শিক্ষকের নাম মো. সবুজ হাওলাদার (৫৬)। তিনি হিজলা উপজেলার চরপত্তনীভাঙা গ্রামের মৃত জালাল হাওলাদারের ছেলে। শারীরিক প্রতিবন্ধী সবুজ হাওলাদার মুলাদী বাধের উত্তরপাড়ে কাজী অফিসের পাশে ভাড়া বাসায় থাকতেন এবং প্রাইভেট শিক্ষক হিসেবে ছাত্র-ছাত্রী পড়াতেন। তিনি মাসিক সুদ দেওয়ায় শর্তে বন্দরের ব্যবসায়ী ফরিদ উদ্দীন খানের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়েছিলেন বলে জানান পরিবারের সদস্যরা। নির্ধারিত সময়ে ওই টাকা পরিশোধ করতে না পারায় বৃহস্পতিবার রাতে তাকে ফরিদ উদ্দীন খান বাসায় ডেকে নিয়েছিলেন বলে জানান তার ভাই দেলোয়ার হাওলাদার।

 দেলোয়ার হাওলাদার জানান, প্রায় ১ বছর আগে তার ভাই সবুজ হাওলাদার সুদ দেওয়ার শর্তে জনৈক আব্দুর রহমানের মাধ্যমে ফরিদ উদ্দীন খানের কাছ থেকে এক লাখ টাকা নেন। ওই টাকায় সুদে আসলে ২ লাখ টাকা দাবি করেন ফরিদ খানের সহকারী আব্দুর রহমান। গত ২০ জুলাই টাকা পরিশোধ করার সময় নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন তারা। সময়মতো টাকা পরিশোধ করতে না পারায় ফরিদ খান ৩১ জুলাই রাতে সবুজ হাওলাদারকে তার বাসা ডেকে নেন।

 দেলোয়ার হাওলাদার আরও বলেন, সবুজ হাওলাদার  বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফরিদ খানের বাসায় যান। পৌনে ১১টার দিকে ভাইয়ের অসুস্থ্যতার সংবাদ পেয়ে সেখানে পৌছে দেখেন তাকে ফরিদ খানের বাসা থেকে বের করা হচ্ছে। পরে হাসপাতাল নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। একজন সুস্থ্য মানুষ একটি বাসায় যাওয়ার পর মৃত্যু হওয়ায় বিষয়টি অস্বাভাবিক মনে হয়েছে। তাই পুলিশে সংবাদ দেওয়া হয়।

ফরিদ উদ্দীন খান জানান, জমি বিক্রি করার কথা বলে সবুজ হাওলাদার ২ লাখ টাকা নিয়েছিলেন। ওই জমির দলিল দিতে বিলম্ব করায় তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিলো। তিনি বাসা এসে আরও কিছুদিন সময় চেয়েছেন। ওই সময় হঠাৎ করে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত হাসপাতাল নেওয়ার পথে মারা যান।

এব্যাপারে মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রতিবন্ধী শিক্ষকের মুত্যুতে পরিবারের সন্দেহ হওয়ায় লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবন্ধী শিক্ষকের পরিবার মামলা করলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে