ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলা ভালাইপুর গ্রামের শফিকুল ইসলাম প্রতারণার মাধ্যমে জমি লিখে নিয়ে নানা অজুহাতের পর ব্যাংকের চেক দিলেও টাকা মিলছেনা। ফলে চরম বিপাকে পড়েছেন কোটচাঁদপুরের ব্যাবসায়ী আলমগীর হোসেন। দীর্ঘদিন এমন প্রতারণার কারণে অবশেষে আদালতে মামলা হয়েছে চেক প্রদানকারী শফিকুল ইসলামের স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার বিরুদ্ধে।
ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন অভিযোগ করেন, ভালাইপুর গ্রামের শফিকুল ইসলামের সাথে আমার ব্যবসায়ীক সম্পর্ক ছিল। যে কারণে তাকে বিশ্বাস করে আমার নিকট আত্নীয় মহেশপুর পৌর শহরের মনোয়ার বেগমের কাজ থেকে ২৮শতক জমি শফিকুল ইসলামের নামে বাকীতে রেজিষ্ট্রী করে দেয়া হয় বিগত ২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে। কথা থাকে কিছু দিনের মধ্যে জমির দাম ৯৭লাখ টাকা পরিশোধ করবে। কিন্তু দীর্ঘ সময় পার হয়ে গেলেও সে টাকা পরিশোধ না করে বিভিন্ন টালবাহানা করতে থাকে। সে কারণে ওই এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তি বর্গের সাথে নিয়ে সালিশে বসলে শফিকুল ইসলাম টাকা বিষয়টি স্বীকার করে এবং ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা দেয়ার কথা বলেন। এ সময় শফিকুল ইসলাম তার স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার স্বাত্বধিকারী সালিম ট্রেডার্সের নামীয় বাংলাদেশ ডেভেলপমেণ্ট ব্যাংক ঝিনাইদহ শাখার ৯৭ লাখ টাকার ০০৫৮২০০০০৭১২২ নং চেক আমাকে প্রদান করেন। যা তিনি সাদা কাগজে লিখিত আকারে সালিশে উপস্থিত সকলের সামনে চেকটি প্রদান করেন ১৩/০৪/২০১৮ তারিখে। পরে চেকে টাকা না পেয়ে আবারো শফিকুলের দারস্ত হলে তিনি বিভিন্ন টালবাহানা করে ঘোরাতে থাকেন। এক পর্যায়ে শফিকুল ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে চেকের মামলা করার প্রস্তুতি নিলে শফিকুল অবস্থা বেগতিক দেখে আমার ডেকে ওই জমি থেকে ১৮শতক জমি ফেরত দিয়ে বাকী ১০শতকের টাকা পরিশোধের জন্য সময় চাই। এ সময় উপস্থিত লোকজনের সামনে ওখানেই দলিল লেখক ডেকে ১৮শতক জমির দলিল প্রস্তুত করা হয়। ১সপ্তাহ’র মধ্যে দলিলটি রেজিষ্ট্রির কথা থাকলেও শফিকুল আজ পর্যন্ত তা করেননি। ভুক্তভোগী আলমগীর বলেন, টাকা উদ্ধারে আর কোন উপায় না পেয়ে শেষ পর্যন্ত গত ২৩/০৬/২০২৫ তারিখে চেক প্রদানকারী শফিকুল ইসলামের স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তারের বিরুদ্ধে আদালতে চেকের মামলা করি। পরবর্তীতে শফিকুল আমার বিরুদ্ধেও মিথ্যা অভিযোগ তুলে কাউণ্টার মামলা করে। সেই সাথে আমাকে হয়রানি ও মানষিক ভাবে চাপে রাখতে সাংবাদিকদের কাছে মিথ্যা তথ্য দিয়ে একাধিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করা হয়। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়া হয়। যে সংবাদে আমার কোন বক্তব্য নেয়া হয়নি। সংবাদে চেক ও ব্যাংক সম্পর্কে যা বলা হয়েছে তা আদেও সত্য নয়। আমি ওই মিথ্যা মনগড়া সংবাদের জোর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এদিকে অভিযুক্ত ইয়াসমিন আক্তার জানান- আলমগীরকে আমি চেক দেয়নি, তবে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে চাইলে শফিকুল ও তার স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার কোন কিছু বলতে চাননি।