টাঙ্গাইলে ওএমএস’র কেন্দ্রে উপচেপড়া ভীড়

এফএনএস (টাঙ্গাইল) : | প্রকাশ: ২ আগস্ট, ২০২৫, ০৩:৪৯ পিএম
টাঙ্গাইলে ওএমএস’র কেন্দ্রে উপচেপড়া ভীড়

টাঙ্গাইল পৌর এলাকায় ওএমএস’র বিক্রয় কেন্দ্রে ক্রেতা নারী-পুরুষের উপচেপড়া ভীড়। চাল-আটা পেয়ে ক্রেতারা খুশি। আর এ ভীড় সামলাতে ডিলার ও তাদের প্রতিনিধিরা হিমসীম খাচ্ছে। দীর্ঘ ২৭ দিন পর পৌর এলাকায় ১৮টি ওয়ার্ডের ২০টি বিক্রয় কেন্দ্রে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত এ চাল আটা বিক্রয় শুরু হয়েছে। প্রতিজন ক্রেতা ১৫০ টাকায় ৫ কেজি চাল ও ১২০ টাকায় ৫ কেজি আটা ক্রয় করছেন। ডিলাররা বলছেন দীর্ঘ দিন একটানা বন্ধ থাকায় ক্রেতাদের এ ভীর হচ্ছে। ভীর থাকলেও ক্রেতারা সহজেই পণ্য ক্রয় করতে পারছেন।   পূর্ব আদালত পাড়া,   ,  দিঘুলীয়া ও কাগমারাসহ কয়েকটি ওএমএস কেন্দ্রে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় যে ক্রেতা নারী-পুরুষের দীর্ঘ লাইন। আর এ লাইনে নারীদের সংখা বেশী। দিঘুলীয়া ওএমএস কেন্দ্রে চাল-আটা ক্রয় করতে আসা সুলতানা ও আব্দুল হাকিম জানান, আমরা মধ্যবিত্ত মানুষ। ওএমএস’র চাল-আটা আসাদের সম্বল। এ চাল-আটা আমরা দীর্ঘ দিন ধরে খাচ্ছি। বাহিরে বাজারে দাম বেশি। তাই এই চাল-আটা নিতে এসেছি।

দিঘুলীয়া ওএমএস কেন্দ্রের ডিলার আকাশ সওদাগর জানান, ওএমএস’র চাল-আটার মান ভালো। যে কারনে ক্রেতাদের ভীড় দিন দিন বাড়ছে। জেলা খাদ্য অধিদপ্তরের সার্বিক সহযোগিতায় ও কর্মকর্তাদের তদারকির মাধ্যমে প্রতিদিন চাল-আটা বিক্রি করা হচ্ছে। খাদ্য বিভাগের উর্ধতন কর্মকর্তারা কেন্দ্র পরিদর্শন করছেন। সরকারের এটি মহৎ উদ্যোগ।  

কাগমারা কেন্দ্রের ডিলার শফিকুল ইসলাম রঞ্জু জানান, ওএমএস কার্যক্রম চালু থাকায় সাধারণ মানুষ খুশি। অতি সহজেই এখান থেকে কম মূল্যে চাল-আটা ক্রয় করতে পারছেন। এটি সরকারের একটি ভালো দিক।

টাঙ্গাইল সদর উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক মো. সোহেল মিয়া দিঘুলীয়া ও সন্তোষে ওএমএস’র বিক্রয় কেন্দ্র পরিদর্শনকালে বলেন, ওএমএস’র চাল-আটার চাহিদা বেড়েছে। ওএমএস’র কেন্দ্রে কোন অনিয়ম না হয় সে লক্ষে আমরা দায়িত্ব পালন করে আসছি।

টাঙ্গাইল সদর উপজেলা খাদ্য নিয়স্ত্রক ইলিয়াস আহমেদ জানান, ওএসএম’র ২০টি কেন্দ্রে প্রতিদিন চাল-আটা বিক্রি হচ্ছে। কেন্দ্রগুলোতে তদারকির জন্য একজন করে খাদ্য বিভাগের প্রতিনিধি রয়েছে। যাতে সঠিক নিয়োমে মানুষ আটা-চাল ক্রয় করতে পারেন। এ বিষয়ে আমাদের সজাগ দৃষ্টি রয়েছে।

টাঙ্গাইল জেলা ভারপ্রাপ্ত খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মইনুল ইসলাম ভূঞা জানান, পৌর এলাকার ২০টি কেন্দ্রে ওএমএস’র কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। প্রতিদিন ১জন ডিলার একটন আটা ও একটন চাল বরাদ্দ পাচ্ছেন। কেন্দ্রগুলোতে তদারকির জন্য খাদ্য বিভাগের প্রতিনিধি নিয়োজিত রয়েছে। এছাড়াও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও অন্যান্য কর্মকর্তারা কেন্দ্র পরিদর্শন করছেন। যাতে কোন প্রকার অনিয়ম না হয়। সরকারের ওএমএস কার্যক্রম চালু থাকায় মানুষ উপকৃত হচ্ছেন। খাদ্য অধিদপ্তর এ কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষে দায়িত্ব পালন করে আসছে।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে