খুলনায় আল আমিন নামে এক ঘের ব্যবসায়ীকে ধারলো অস্ত্রদিয়ে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। রোববার (৩ জুলাই) রাত ৯ টার দিকে ওই যুবককে গলাকেটে হত্যা করে মহেশ্বরপাশা বণিকপাড়া খানাবাড়ি রাস্তার ওপর ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) জাহিদুল ইসলাম।
অপরদিকে, নগরীর কাস্টমঘাট এলাকায় সোহেল নামে এক যুবককে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করেছে দুর্বৃত্তরা।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, দৌলতপুর থানাধীন মহেশ্বর পাশা উত্তর বণিক পাড়া খানা বাড়ি পল্লবের বাড়ি সংলগ্ন সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় দুর্বৃত্তরা গলা কেটে হত্যা করে বলে জানা যায়। নিহত আল আমিন পেশায় একজন ঘের ব্যবসায়ী। নিহত আল আমিন দৌলতপুর মহেশ্বরপাশা দিঘীর পূর্বপাড় এলাকার সাহেদ আলীর ছেলে। রাতে পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
দৌলতপুর থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) জাহিদুল ইসলাম বলেন, কালো রংয়ের একটি পালসার মোটরসাইকেলসহ গলাকাটা অবস্থায় এক যুবকের লাশ মহেশ্বরপাশা বণিকপাড়া খানাবাড়ির সামনে পড়ে আছে- এমন সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরে জানতে পারি গাড়িটি চলন্ত অবস্থায় ছিল। কে বা কারা তাকে হত্যা করেছে তা কেউ বলতে পারছে না।
তিনি বলেন, ধারলো অস্ত্র দিয়ে ওই যুবকের গলা কাটা হয়েছে। লাশ উদ্ধারের পরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত হন। আশপাশের সিসি ফুটেজ নেওয়া হয়েছে। হত্যাকান্ডের পর ওই এলাকার কেউ মুখ খুলছে না।
অপরদিকে,খুলনা নগরীতে দুর্বৃত্তের গুলিতে সোহেল (২৮) নামে এক যুবক আহত হয়েছেন। রোববার (৩ আগস্ট) রাত পৌনে ৮ টার দিকে ২ নং কাষ্টমঘাট এলাকার একটি সেলুনের সামনে ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
খুলনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ হাওলাদার সানওয়ার হুসাইন মাসুম বলেন, সোহেল ২ নং কাষ্টমঘাট এলাকার নিজ বাড়ি থেকে বেরিয়ে একটি সেলুনের সামনে অবস্থান করছিল। এ সময়ে ৪/৫ টি মোটরসাইকেলযোগে কয়েকজন সন্ত্রাসী সেখানে হাজির হয়। যাদের সকলের মুখ বাঁধা এবং হেলমেট দিকে ঢাকা ছিল। তারা সোহেলকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে একটি গুলি তার পেটে বিদ্ধ হয়। এ সময় তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। দূর্বৃত্তরা স্থান ত্যাগ করলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। তার বিরুদ্ধে খুলনা সদর থানায় মাদক আইনে ৪ টি মামলা রয়েছে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার মো: আবু তারেক (দক্ষিণ) বলেন, আহত সোহেল স্থানীয় একটি সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্য। মাদক এবং টাকার লেনদেন নিয়ে ঘটনাটি ঘটতে পারে বলে তিনি জানিয়েছেন। গুলিবিদ্ধ সোহেল ওই এলাকার স্বপন শিকদারের পুত্র।