নাগেশ্বরীতে শিশুর সাথে দ্বন্দ্ব, আহত ৪

এফএনএস (হাফিজুর রহমান হৃদয়; নাগেশ্বরী, কুড়িগ্রাম) : | প্রকাশ: ৪ আগস্ট, ২০২৫, ০৬:৩০ পিএম
নাগেশ্বরীতে শিশুর সাথে দ্বন্দ্ব, আহত ৪

‎কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিশু, নারী, বৃদ্ধ ও স্বাক্ষীসহ ৪ জনকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় হামলার শিকার বৃদ্ধ তহর উদ্দিন গুরুতর আহতাবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ বিষয়ে নাগেশ্বরী থানায় পৃথক দুটি অভিযোগ করেছেন মারপিটের শিকার পরিবার ও স্বাক্ষী। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার রামখানা ইউনিয়নের আজমাতা হুরকাটারী গ্রামে 

‎স্থানীয় ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৭ জুলাই সকাল ১১টার দিকে আজমাতা হুরকাটারী গ্রামের তহর উদ্দিনের ছয় বছর বয়সী নাতি সাখাওয়াত হোসেন ও প্রতিবেশী মোখলেছুর রহমানের ছেলে আশরাফুল আলম (২৪) মিলে খেলার সময় একে অপরের গায়ে থু-থু ছিটায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আশরাফুল শিশু সাখাওয়াতকে বাঁশের লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। ‎শিশুটির কান্না শুনে তার নাানী এসে প্রতিবাদ করলে তাকেও মারধরের শিকার হতে হয়। নানী বিষয়টি তার স্বামী তহর উদ্দিনকে জানালে তিনি উল্টো স্ত্রীকে ওই যুবকের সাথে বিবাদে না জড়ানোর জন্য বকাঝকা করেন। কিন্তু তাতেও ক্ষ্যান্ত হননি আশরাফুল। পরে তিনি রাগে ক্ষোভে আবারও মাঠে কাজ করতে যাওয়া বৃদ্ধ তহর উদ্দিনকে তুলে এনে প্রকাশ্য দিবালোকে বেধড়ক মারধর করে আহত করে। ‎স্থানীয়রা জানান, আশরাফুলের মারধরের ফলে তহর উদ্দিন গুরুতর জখম হন। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে দ্রুত নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। চিকিৎসকরা জানান, তার শরীরে একাধিক স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে এবং বয়সজনিত কারণে অবস্থা আশঙ্কাজনক।

‎আহতের পরিবারের পক্ষ থেকে ৩০ জুলাই নাগেশ্বরী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন তহর উদ্দিন। অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে তদন্তে গেলে তদন্ত শেষে চলে যাওয়ার পরই আবারও তহর উদ্দিনের স্ত্রী ও স্বাক্ষির উপর হামলা করে আশরাফুল, আতাউর রহমান, মাছুম বিল্লা ও মানু মিয়া। 

পরে ঘটনার প্রতক্ষদর্শী স্বাক্ষী প্রতিবেশী আল-আমিন ইসলাম থানায় পৃথক একটি অভিযোগ করেন। আল-আমিন ইসলাম জানান, আমার অপরাধ আমি স্বাক্ষী দিলাম কেন। এজন্য আমার উপর অতর্কিত হামলা করে মারপিট করে। এখন আমাকে বিভিন্ন সময় হুমকী দিচ্ছে। আমাকে যেখানে পাবে ক্ষুন করবে। শুধু আমাকে নয় তহর আলীর বাড়ির লোকজনকেও নানাভাবে হত্যার হুমকী দিয়ে আসছে আশরাফুলের লোকজন। এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে জানান ভুক্তভোগী পরিবারটি। 

‎সংবাদ সংগ্রহের জন্য সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গেলে অভিযুক্ত আশরাফুলকে একবার দেখা গেলেও পরে গা ঢাকা দেয়। তার মা জানান, আশরাফুল বাড়িতে নেই, কোথায় গেছে জানি না।

‎নাগেশ্বরী থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম রেজা বলেন, আমরা দুটি পৃথক অভিযোগ পেয়েছি। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা চলছে। যদি কোনো পক্ষ মীমাংসা না করে, তবে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে আদালতে প্রসিকিউশন দেয়া হবে।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে