মাদারীপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনে শহীদদের কবর জিয়ারত করেছেন জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগসহ বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তারা। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকালে সদর উপজেলার মোস্তফাপুর ইউনিয়নের সুচিয়ারভাঙ্গা এলাকায় শহীদ তাওহীদ সন্ন্যামাতের কবর জিয়ারত করেন তারা। মোনাজাত শেষে শহীদের পরিবারকে সান্ত্বনা দেন জেলা প্রশাসক মোছা. ইয়াছমিন আক্তার, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাঈমুল হাছানসহ অন্যরা।
এসময় পরিবার থেকে কোটা সংস্কার আন্দোলনে হতাহতের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার আসামিদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়। এছাড়া পরিবারের পক্ষ থেকে স্থায়ীভাবে ভাতা ও শহীদের নামে নিজ এলাকায় একটি করে স্থায়ী তোরণ নির্মাণের দাবি তোলা হয়।
জেলা প্রশাসক ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা দোষীদের বিচারের মুখোমুখি করার আশ্বাস দেন। পাশাপাশি নিহতদের পরিবারকে সরকারিভাবে সহযোগিতার কথাও জানান তারা।
শহীদ তাওহীদ সন্ন্যামাতের বাবা সালাউদ্দিন সন্ন্যামাত বলেন, আমার ছেলেকে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত বিচারের মুখোমুখি আনতে হবে। তাহলে মনটাকে একটু সান্ত্বনা দিতে পারব।
তাওহীদের বড়ভাই আসাদ সন্ন্যামাত বলেন, আমাদের পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিল তাওহীদ। তার রাজমিস্ত্রীর কাজের অর্থ দিয়ে সংসার চলতো। পরিবারে বৃদ্ধ বাবা ও আরও ৪ সদস্য রয়েছে। এখন অর্থাভাবে খুবই কষ্টে আছি। সরকারের কাছে আবেদন, যাতে সারাজীবন আমাদের পাশে থাকে। আর তাওহীদের নামে একটি তোরণ নির্মাণের দাবি করছি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মাদারীপুর গণপূর্ত অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহরিয়ার হোসেন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার শামসুল আলম, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সানাউল কাদের খান, সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হাসান, র্যাব-৮ এর মাদারীপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার ও এলজিইডির কর্মকর্তাসহ অন্যরা।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে মাদারীপুরে ৩ জন ও রাজধানী ঢাকায় মাদারীপুর জেলার বাসিন্দা ১৪ জনসহ মোট ১৭ জন শহীদ হয়। এই ঘটনায় মাদারীপুরে ৩টিসহ রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা হয়। ৫ আগস্টের এইদিনে আলাদাভাবে ভাগ হয়ে সরকারের বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তারা শহীদদের বাড়িতে যান। নিহতদের কবর জিয়ারত ও পরিবারকে সান্ত্বনা দেন।