রাজারহাট শহরে দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে অবৈধ ডাম্পার ও ট্রাক ও টলি: ঘটছে দূর্ঘটনা

এফএনএস (প্রহলাদ মণ্ডল সৈকত; রাজারহাট, কুড়িগ্রাম) : | প্রকাশ: ৬ আগস্ট, ২০২৫, ০১:২৭ পিএম
রাজারহাট শহরে দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে অবৈধ ডাম্পার ও ট্রাক ও টলি: ঘটছে দূর্ঘটনা

কুড়িগ্রামের রাজারহাট শহর জুড়ে অবৈধ ডাম্পার ট্রাক, ১৮চাকার ট্রাকে সিমেন্ট, শ্যালো ইঞ্জিনচালিত গাড়ি ও ট্রলিতে করে মাটি ও বালু বহনের হিড়িক পড়েছে। এতে করে এ এলাকার রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষতি হলেও অজ্ঞাত কারণে প্রশাসনের নাকের ডগায় অবাধে চলছে ভয়ঙ্কর মরণ ফাঁদ এসব যানবাহন। সড়কে এসব যানের উপস্থিতিতে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে গণমানুষসহ বৈধ যানের স্বাভাবিক চলাফেরা। ঘটছে প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনা।

অভিযোগ উঠেছে, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সড়ক-মহাসড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত মাটি, বালু ও ইটবাহী ডাম্পার, ট্রাক্টর, শ্যালো ইঞ্জিনচালিত গাড়ি চলছে। মাটি, ইট ও বালুবাহী অতিরিক্ত ওজনের এসব গাড়ির কারণে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা পাকা সড়কগুলোর কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে। সড়কে খানাখন্দের সৃষ্টি হচ্ছে। রাস্তায় মাটি পড়ে বাড়ছে জনদুর্ভোগ ও মৃত্যুর ঝুঁকি। এসব যানবাহন চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্সও নেই।

বিভিন্ন স্থান থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিভিন্ন ইটভাটা ও শহরের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রয় করা হচ্ছে। শহরের কুড়িগ্রাম হতে তিস্তা-রাজারহাট বাজারসহ বিভিন্ন সড়ক দিয়ে চলাচল করে এসব যানবাহন। শহরের বিভিন্ন স্থানে পুকুর ও বিল ভরাট করার টেন্ডার নিয়ে অবৈধ যানে করে এসব মাটি বা বালু পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।

বেশ কয়েক জন ট্রলি চালক ও ডাম্পার ট্রাক চালকদের সাথে কথা বললে তারা জানান, অবৈধভাবে মাটি ও বালির উত্তোলন করে বিক্রি করছে কিছু ইট-বালু ও খোয়া বিক্রেতারা। এসব যানবাহন চলাচলের কারণে রাস্তাঘাট ও জনসাধারণের ক্ষতি হচ্ছে, বর্ষায় রাস্তাঘাট কাদামাটি হয়ে যাচ্ছে এবং দূর্ঘটনা ঘটছে এমন আশংখ্যায় রয়েছে সাধারন মানুষ।

গায়ের জোর খাটিয়ে এ শহরের ভিতর দিয়ে এসব কাজ করছে। সচেতন মহলরা জানান, প্রশাসনকে বার বার বলার পর ও কাজ হচ্ছে না। অতিরিক্ত পাথর নিয়ে ডাম্পার ট্রাক এ সড়ক দিয়ে নিয়মিত চলাচল করায় সড়কটি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এছাড়া ট্রাকের কারণে যানজট লেগেই থাকে প্রতিনিয়িত। ফলে রাজারহাট উপজেলার সড়কগুলো এবং কুড়িগ্রাম রাজারহাট হয়ে তিস্তা মহাসড়কের বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। 

এলাকার বিভিন্ন সড়কে এসব অবৈধ যানবাহন যাতে চলাচল করতে না পারে সেজন্য কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসন ও পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সাধারণ মানুষ।

বুধবার(৬আগষ্ট) রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নাজমুল আলম বলেন, আমি সবেমাত্র এসেছি। বিষয়টি দেখবো।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে