মাদারীপুরে দুর্বৃত্তদের হামলায় সাংবাদিকসহ তিন ভাইকে কুপিয়ে জখম

এফএনএস (এস. এম. রাসেল; মাদারীপুর) | প্রকাশ: ৬ আগস্ট, ২০২৫, ০৯:১৮ পিএম
মাদারীপুরে দুর্বৃত্তদের হামলায় সাংবাদিকসহ তিন ভাইকে কুপিয়ে জখম

জুলাই অভ্যুত্থান ও জুলাই বিপ্লব দিবস উপলক্ষ্যে মাদারীপুর জেলা বিএনপির বিজয় মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় দুবৃর্ত্তদের হামলায় মারাত্মক জখম হয়েছে দৈনিক আমার বার্তার জেলা প্রতিনিধি শহিদুল ইসলাম লিখন মুন্সি ও তার আপন দুই ভাই। বুধবার (৬ জুলাই) দুপুরের দিকে মাদারীপুর পৌর শহরের ডিসি ব্রিজ এলাকায় মিছিল আসলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তাদের কুপিয়ে জখম করা হয়। এ ঘটনায় লিখন মুন্সি ও সোহাগ মুন্সিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

আহত পরিবার ও পুলিশ জানায়, সকাল পৌনে ১২টার দিকে জেলা বিএনপির উদ্যোগে জুলাই বিপ্লব দিবস উপলক্ষ্যে একটি বিজয় মিছিল নিয়ে শকুনী লেকপাড় থেকে ইটেরপুলের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় মিছিলটি ডিসি ব্রিজ এলাকায় আসলে মিছিল থেকে কয়েকজন দুবৃর্ত্ত দেশীয় অস্ত্র দিয়ে লিখন মুন্সিকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। তাকে বাঁচাতে আসলে লিখনের দুই ভাই মিলন মুন্সি ও সোহাগকেও কুপিয়ে জখম করে। পরে তাদের উদ্ধার করে মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে লিখন ও সোহাগের অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনার সময় মিছিলের পাশেই মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আদিল হোসেন ও তার সাথে সঙ্গীয় ফোর্স উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু তাদের তেমন তৎপরতা দেখা যায়নি বলে স্থানীয়রা জানান। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

এদিকে সাংবাদিকের উপর এমন ন্যক্কারজনক হামলায় ক্ষুদ্ধ হয়েছেন স্থানীয় সাংবাদিক সমাজ। তারা অবিলম্বে দোষীদের বিচার দাবি করেন।

এ ব্যাপারে আহত মিলন মুন্সি বলেন, আমার ভাইকে অস্ত্র দিয়ে কোপাচ্ছিল সন্ত্রাসীরা। পরে আমি ও আমার আরেক ভাই তাকে বাঁচাতে গেলে আমাদের কুপিয়ে জখম করেছে। আমি অনেককেই চিনি। আপাতত তাদের নাম বলবো না। তবে তাদের নামে মামলা করা হবে। এ ঘটনায় আমার আরেক ভাই শ্রমিকদলের নেতা সেলিম মুন্সি দূরে থাকায় তাকে কোপাতে পারেনি।

এ ব্যাপারে মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘এ বছরের ২৩ মার্চ রাত ১০টার দিকে সদর উপজেলার নতুন মাদারীপুর এলাকায় উপজেলা শ্রমিকদলের সভাপতি মোফাজ্জেল মুন্সির ছেলে শাকিল মুন্সি হত্যা মামলার আসামী ছিলেন শহিদুল ইসলাম লিখন মুন্সি ও তার আরেক ভাই। এ ঘটনার জেরেই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে বোঝা যাচ্ছে। এরই মধ্যে চিহ্নিত কিছু লোকদের ধরার চেষ্টা চলছে। আর সদর থানা পুলিশ ঘটনার কাছে থাকলেও তারা আসার পূর্বেই কোপানোর ঘটনা ঘটেছে।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে