সন্ত্রাসবিরোধী মামলায় মেজর সাদিকের স্ত্রী গ্রেপ্তার, আদালতে রিমান্ড আবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশ: ৭ আগস্ট, ২০২৫, ১২:৫৭ পিএম
সন্ত্রাসবিরোধী মামলায় মেজর সাদিকের স্ত্রী গ্রেপ্তার, আদালতে রিমান্ড আবেদন

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে নেওয়ার একদিন পর সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গ্রেপ্তার দেখানো হলো মেজর সাদিকুল ইসলাম সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিনকে। অভিযোগ—রাজধানীতে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের গেরিলা প্রশিক্ষণের সঙ্গে তিনি জড়িত ছিলেন।

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) ঢাকা মহানগর পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ কামরুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, সুমাইয়া জাফরিনকে রাজধানীর ভাটারা থানায় দায়ের করা একটি সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে এবং তাঁকে আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করা হবে।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বুধবার, ৬ আগস্ট ২০২৫ (দিন ছিল বুধবার) রাতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি বিশেষ দল সুমাইয়া জাফরিনকে আটক করে মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে নেয়। তাকে আটকের আগে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি কনভেনশন সেন্টারে গোপন বৈঠক ঘিরে অভিযান চালায় পুলিশ। ওই অভিযানে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের ২২ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ডিএমপি পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় ভাটারা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয় এবং তদন্তের দায়িত্বে রয়েছেন মহানগর গোয়েন্দা বিভাগ।

এদিকে ১ আগস্ট ২০২৫ (শুক্রবার) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে জানায়, ১৭ জুলাই ২০২৫ তারিখে মেজর সাদিকুল ইসলাম সাদিককে রাজধানীর উত্তরা এলাকার নিজ বাসা থেকে আটক করে সেনাবাহিনীর হেফাজতে নেওয়া হয়। অভিযোগের সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য ইতোমধ্যে একটি সামরিক তদন্ত আদালত গঠন করা হয়েছে এবং প্রাথমিক অনুসন্ধানে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের প্রমাণ মিলেছে।

আইএসপিআর আরও জানায়, তদন্ত সম্পন্ন হওয়ার পর অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর প্রচলিত আইন ও বিধান অনুযায়ী প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি, পুরো বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশ ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সমন্বয় রাখা হচ্ছে।

এ ঘটনায় গোটা রাজধানীতে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। রাজনীতি সংশ্লিষ্ট এমন একটি গোপন প্রশিক্ষণ ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগে একজন সেনা কর্মকর্তার স্ত্রী জড়িত থাকায় এ বিষয়ে সর্বস্তরে গভীর পর্যবেক্ষণ চলছে। রিমান্ড মঞ্জুর হলে তদন্তে আরও তথ্য উঠে আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তারা।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে