সাম্প্রতিক সময়ে সরাইলে হত্যা মাদক ও সামাজিক অবক্ষয়ের বিস্তৃতি ঘটেছে। মাত্র ২২ দিনের ব্যবধানে দুটি হত্যাকান্ডের ঘটনা ভাবিয়ে তুলেছে গোটা সরাইলকে। আর মাদক ব্যবসায়ি আর সেবনকারীদের ভয়াবহ দৌরাত্ব ঘুম হারাম করে দিয়েছে অভিভাবক ও সমাজ সচেতন ব্যক্তিদের। প্রতিবাদে রাস্তায় নামতে শুরূ করেছেন সাধারণ মানুষ। এরই ধারাবাহিকতায় এসবের প্রতিবাদে ও বিচার দাবীতে বুধবার সকালে উপজেলার কালীকচ্ছ শহীদ মিনার চত্বরে পালিত হয়েছে মানববন্ধন কর্মসূচি। স্থানীয় উদীচী ও হৃদয়ে আলাকিত সরাইল নামের দুটি সংগঠনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত ওই মানববন্ধন কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেছেন উল্লাসকর দত্ত স্মৃতি পরিষদের সম্পাদক মো. আহমেদ হোসেন। উদীচী সরাইল শাখার সম্পাদক মো. মোজাম্মেল পাঠানের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন-উদীচী জেলা শাখার সভাপতি মো. জহিরূল ইসলাম স্বপন, সম্পাদক মো. ফেরদৌস রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান মো. ছায়েদ হোসেন, প্রভাষক মো. দুলাল মিয়া, ইউপি বিএনপি’র সম্পাদক মো. মানিক মিয়া, বিএনপি নেতা আজমল হোসেন ছোটন, সাবেক ছাত্রদল নেতা আবুল কাশেম, কাজী জিয়াউল হক রেজভী, আতিকুর রহমান খেলু, জামাল হোসেন লস্কর ও নিহত মোস্তফা কামালের ভাই মো. আবু বক্কর প্রমূখ। বক্তারা বলেন, কালীকচ্ছ ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ড ও মহল্লায় মাদকের বিস্তৃতি ভরাবহ রূপ ধারণ করেছে। বাজারের কয়েকটি মিষ্টির দোকানে সন্ধ্যার পর প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে ছোলামদ। এখানকার মাদক কারবারী গ্রূপের সদস্যদের অনেকেই চিনেন ও জানেন। কিন্তু প্রাণ রক্ষা ও আত্ম সম্মানের ভয়ে কেউ প্রতিবাদ বা প্রতিহত করতে এগিয়ে আসছেন না। ফলে মাদকের প্রভাব সমাজ ও পরিবারের রন্দ্রে প্রবেশ করছে। ধ্বংসের পথে চলে যাচ্ছে স্থানীয় যুব সমাজ ও উঠতি বয়সের শিক্ষার্থীরা। মাদক ব্যবসায়ি ও সেবনকারী গ্রূপের সদস্যদের মদদেই টাকার ব্যাগ নিতে ব্যবসায়ি মোস্তফাকে নির্মম নৃশংস ভাবে হত্যা করেছে। লোকজন বলছেন মাদকের বড় একটি সিন্ডিকেটের কাছে ওই মহল্লার লোকজন জিম্মি। বক্তারা ইউনিয়নে কর্মরত পুলিশের বিট অফিসারকে মাদক প্রতিরোধের বিষয়ে আরো আন্তরিক হওয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, গোটা কালীকচ্ছকে মাদকের রেডজোন ঘোষণা করে কাজ করা হউক। শাহবাজপুরের শিশু মাইমুনা আক্তার ময়নার হত্যাকারীদের দ্রূত সনাক্ত করে আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর দাবী জানান। সেই সাথে মোস্তফা হত্যার মূল আসামী ৪ ছিনতাকারীর ফাঁসি নিশ্চিত করে তাদের গডফাদারদের বিরূদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার দাবী করেছেন। সবশেষে মানবন্ধনকারীরা সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোশারফ হোসাইনের দফতরে হাজির হয়ে উনার মাধ্যমে জেলা প্রশাসক বরাবর সকল বিষয়ের প্রতিকারের আবেদন সম্বলিত একটি স্বারকলিপি প্রদান করেছেন। অনুলিপি প্রেরণ করেছেন সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তার কাছে।