টঙ্গীতে ট্রাভেল ব্যাগে খণ্ডিত লাশ: মাথা উদ্ধার, গ্রেপ্তার দুই

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশ: ১০ আগস্ট, ২০২৫, ১২:১৯ পিএম
টঙ্গীতে ট্রাভেল ব্যাগে খণ্ডিত লাশ: মাথা উদ্ধার, গ্রেপ্তার দুই

গাজীপুরের টঙ্গীতে ট্রাভেল ব্যাগে মোড়ানো পরিবহন শ্রমিক মো. অলি মিয়ার খণ্ডিত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর অগ্রগতি হয়েছে। পুলিশের তথ্যমতে, শনিবার (৯ আগস্ট) বিকালে টঙ্গীর বনমালা রোডের একটি বাসার টয়লেটের ফলস ছাদ থেকে কালো পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় নিহতের বিচ্ছিন্ন মাথাটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

গাজীপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ জাহিদুল হাসান জানান, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন—সাদেক ও বাপ্পী। বাপ্পীকে গাজীপুরের গাছা এলাকা থেকে টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে টঙ্গীর বনমালা রোডে সাদেকের ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে মাথাটি উদ্ধার করা হয়। একইদিন বিকেলে র‍্যাব-১ চট্টগ্রামের হাটহাজারী এলাকা থেকে মূল আসামি সাদেককে গ্রেপ্তার করে।

পুলিশ জানায়, শুক্রবার (৮ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে টঙ্গী স্টেশন রোডের হাজী বিরিয়ানির হোটেলের সামনে পরিত্যক্ত দুটি ট্রাভেল ব্যাগ থেকে অলি মিয়ার মাথাবিহীন আট টুকরা লাশ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়রা কৌতূহলবশত ব্যাগ খুলে খণ্ডিত দেহাবশেষ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) মাধ্যমে ফিঙ্গারপ্রিন্ট পরীক্ষা করে নিহতের পরিচয় নিশ্চিত হয়।

নিহত অলি মিয়া (৩৬) নরসিংদী সদর উপজেলার করিমপুর গ্রামের সুরুজ মিয়ার ছেলে। তিনি আজমেরী পরিবহনের হেলপার হিসেবে কাজ করতেন এবং কিছু সময় হকারি করতেন। স্ত্রী শাহানা আক্তার, দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে তিনি দীর্ঘদিন ধরে টঙ্গীতে বসবাস করছিলেন। পুলিশের তথ্যমতে, তার বিরুদ্ধে মাদক সংক্রান্ত তিনটি মামলা রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মাদক ব্যবসা নিয়ে বিরোধের জেরেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে।

টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি মুহম্মদ ফরিদুল ইসলাম বলেন, আসামিরা অলিকে হত্যা করে দেহটি একাধিক খণ্ডে বিভক্ত করে ব্যাগে ভরে ঘটনাস্থলে ফেলে যায়। মামলার তদন্ত চলছে, এবং হত্যার সুনির্দিষ্ট কারণ ও অন্যান্য জড়িতদের শনাক্তে কাজ করছে পুলিশ।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে