৭দিন পর বন্ধ করে দেওয়া হলো কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি জলকপাট

এফএনএস (মিল্টন বাহাদুর; রাঙ্গামাটি) : | প্রকাশ: ১২ আগস্ট, ২০২৫, ১২:২৫ পিএম
৭দিন পর বন্ধ করে দেওয়া হলো কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি জলকপাট

সাত দিন পর বন্ধ করে দেওয়া হলো রাঙ্গামাটির কাপ্তাই কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ১৬টি জলকপাট। মঙ্গলবার সকাল আটটায় বাঁধের সবকটি জলকপাট বন্ধ করে দেওয়া হয়।

বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান বলেন, কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপদ সীমার নিচে নেমে আসায় মঙ্গলবার সকাল ৮টায় পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সব কটি জলকপাট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৭টায় কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা ছিল ১০৭.০৬ এমএসএল। এই কয়েকদিন বৃষ্টি না হওয়ায় ধীরে ধীরে কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা কমে আসছে।

এর আগে সোমবার মধ্যরাতে পানি বিপদসীমা অতিক্রম করায় বাঁধের ১৬টি জলকপাট খুলে দেওয়া হয়। এসময় সর্বোচ্চ সাড়ে তিন ফুট পর্যন্ত জলকপাট খুলে দেওয়া হয়। এ বছর হ্রদের সর্বোচ্চ পানি রেকর্ড করা হয় ১০৮.৮৪। 

হ্রদের সর্বোচ্চ পানি ধারণ ক্ষমতা ১০৯ এমএসএল। এদিকে কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিট চালু রেখে ২২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। আর উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা বিপদ সীমার উপর অতিক্রম করায়  অর্থাৎ ১০৯ ফুটের প্রায় কাছাকাছি চলে আসায় গত ৫ আগস্ট দিবাগত রাত ১২টা ৫ মিনিটে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের (কপাবিকে) ১৬টি জলকপাট ৬ ইঞ্চি করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এতে প্রতি সেকেন্ড ৯ হাজার কিউসেক পানি কাপ্তাই হ্রদ হতে কর্ণফুলি নদীতে নিষ্কাশন করা হয়েছিল। পরবর্তীতে বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় উজান হতে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে হ্রদের পানি অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় এরপর কেন্দ্রের জলকপাট দেড় ফুট, পরবর্তীতে আড়াই ফুট এবং সর্বশেষ সর্বোচ্চ সাড়ে ৩ ফুট পর্যন্ত করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। কাপ্তাই হ্রদের পানির ধারণ ক্ষমতা ১০৯ ফুট মীনস সি লেভেল।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে