ময়মনসিংহের ত্রিশালের ফাতেমানগর স্টেশনের কাছে রেললাইনের পাশে একটি ধানক্ষেতে পড়েছিল রতন চন্দ্র সাহা (২৫) নামে এক যুবকের লাশ। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
জানা যায়, উপজেলার কাঠাঁল ইউনিয়নের নলছিড়া গ্রামের মতিলাল চন্দ্র সাহার মেঝো ছেলে রতন চন্দ্র সাহা। ১০/১২ বছর আগে এসএসসি পাশের পর বাড়ি ছাড়েন। পোষাক কারখানায় চাকরির পাশাপাশি লেখাপড়াও চালিয়ে যাচ্ছিলেন। সর্বশেষ গাজীপুর শ্রীপুরের পূর্বকান্দা আরমাধা নামে একটি স্প্রিনিং মিলে কোয়ালিটি কন্ট্রোলারের চাকরি করতেন। বুধবার রাত সোয়া আটটার দিকে মা প্রনতি সাহা ফোন করেছিলো রতনকে। এসময় রতন মাকে জানিয়েছিল চলতি মাসের ২০ তারিখ বাড়ি আসবে।
বৃহস্পতিবার ভোরে ফাতেমানগর স্টেশনের কাছে রেললাইনের পাশে একটি ধানক্ষেতে উপুর হয়ে পড়ে থাকা যুবকের লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা খবর দেন পুলিশকে। পকেটে থাকা কোম্পানির আইডি কার্ডের সূত্র ধরে সনাক্ত হয় ওই যুবকের পরিচয়। ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
খবর পেয়ে বিকেলে ত্রিশাল থানায় ছুটে আসেন নিপা খাতুন নামে এক নারী। তিনি রতনকে স্বামী হিসেবে দাবি করে পুলিশকে জানান, গত বছরের ১৫ জুন তারা বিয়ে করেন। তারা এক সঙ্গে সংসার জীবন অতিবাহিত করে আসছিলো শ্রীপুরের একটি বাসায়। বিষয়টি নিশ্চিত হতে পুলিশের টিম শ্রীপুরে গেছে।
বিয়ের বিষয়টি অস্বীকার করে নিহতের মামা অরবিন্দু সাহা বলেন, গতকাল রাতেই আমার বোনের সঙ্গে ভাগিনা রতনের কথা হয়। তার তো বাড়িতে আসার কথা ছিল আগামি ২০ তারিখ। তার ছয়দিন আগেই কেন হটাৎ চলে এলো। এতো কাছাকাছি এসেও মায়ের সঙ্গে শেষ দেখাটা হয়নি তার। কি হয়েছিল তার সঙ্গে বুঝতে পারছি না।
ত্রিশাল থানার ওসি তদন্ত মোবারক হোসেন জানান, সুরতহালের সময় তার একটি হাত ভাঙা ও কপালের দিকে মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।