কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর পৌর শহরের গননাট্য সংস্থা আজ সকাল ১১ টায় উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা ও সম্মেলন প্রস্তুতি সভার আয়োজনে প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন করেন বিএনপির একাংশ নেতাকর্মীরা। এ সাংবাদিক সম্মেলনের নেতৃত্ব দেন জেলা বিএনপির সদস্য সাবেক ও সাংগঠনিক সম্পাদক জিএস মীর জলিল, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ কাইয়ুম খান হেলাল, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ কাজল ভূইয়া, জেলা যুবদলের সহ সভাপতি এডভোকেট মোঃ শাহ আলম, উপজেলা যুব দলের সাবেক সভাপতি কায়সার মাহমুদ রিপন ও উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এডভোকেট কাজী মঞ্জুরুল হক রোকন। বক্তারা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গত ১০/০৩/২০২০ইং সালে শেখ মজিবুর রহমান ইকবাল কে আহ্বায়ক করে উপজেলা বিএনপির একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। দলীয় গঠনতন্ত্রের ৬ (খ) (৪) এবং ৬ (খ) ৭ নং অনুচ্ছেদ মোতাবেক উপজেলা কমিটি গঠিত হবে। যার মেয়াদ হবে তিন মাস। তিন মাস পার হয়ে গেছে অনেক দিন আগে। তিন মাস পার হওয়ার পরও ৫ বছর পর্যন্ত কোনো কমিটি হয়নি এ যাবৎ কাল। তারা দাবী করেন ১) আহ্বায়ক কমিটি দ্বারা গঠিত ইউনিয়নের সকল কমিটি বাতিল, ২) সম্মেলনের মাধ্যমে স্বচ্ছ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচনের মাধ্যমে ইউনিয়ন কমিটি গঠন, ৩) স্বচ্ছ ও প্রকৃত ভোটার তালিকা প্রকাশ। কিন্তু এ পর্যন্ত প্রকৃত ভোটার তালিকা প্রকাশ হয় নি। কেন্দ্রীয় বিএনপি হতে ময়মনসিংহ বিভাগের সকল জেলা উপজেলার কাউন্সিল সুষ্ঠ ও যথাযথভাবে সম্পন্ন করার জন্য সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব প্রাপ্ত হন কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল। গত জুলাই মাসের ২ তারিখে বাজিতপুর বাঁশ মহলে একটি প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। দলের বৃহত্তর স্বার্থে ৫ জুলাই ২০২৫ উপজেলা কমিটির কাউন্সিল স্থগিত করেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সমন্বয়ক ও জেলা কমিটি বাতিল করেন। আবারও আগামী ২০ আগষ্ট এক তরফা ভাবে কাউন্সিলের মাধ্যমে কমিটি গঠন করার জন্য উঠে পড়ে লেগে বলে সংবাদ সম্মেলনে তারা অভিযোগ করে। তারা আরো বলেন, বিএনপির সমন্বয়কের নির্দেশ উপেক্ষা করে জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ তাদেরকে ইউনিয়ন কমিটি প্রদান না করে তাদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করেন। গত ১০ আগষ্ট বিএনপির একাংশের (শেখ মজিবুর রহমান ইকবাল-মনিরুজ্জামান মনির) উপজেলা কমিটি গঠন করার পায়তারা চালাচ্ছে বলে তারা সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন। তারা আরো বলেন, এ প্রহাসন কোনো ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না একই সঙ্গে বিএনপির ত্যাগী, পরিক্ষিত নেতা কর্মীদের বাদ দিয়ে যেকোন কাউন্সিল আয়োজনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জ্ঞাপন করছি।