রাজিবপুরে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে তোলা হচ্ছে বালু, হুমকির মুখে মোহনগঞ্জ ইউনিয়ন

এফএনএস (মোঃ আতাউর রহমান; চররাজিবপুর, কুড়িগ্রাম) : | প্রকাশ: ১৭ আগস্ট, ২০২৫, ১১:৫১ এএম
রাজিবপুরে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে তোলা হচ্ছে বালু, হুমকির মুখে মোহনগঞ্জ ইউনিয়ন

এলাকাবাসীর অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে  স্থানীয় একটি মহল ইউনিয়ন রক্ষা ব্লক কার্পেটের নিকটেই ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করছে। প্রশাসন বন্ধ করে দিলও রহস্যজনক ভাবে কিছু  রাজনৈতিক নেতা জড়িত হয়ে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে অপকটে।

কুড়িগ্রাম জেলার চররাজিবপুর  উপজেলার মোহনগঞ্জ ইউনিয়নের নয়াচর বাজারের পশ্চিমে ব্রহ্মপুত্রের করাল গ্রাসে নয়াচর পুরাতন বাজারটি দেবে যায়।

 বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় নদী ভাঙ্গনের নিউজ আসলে সদাশয় সরকার ২০২০ সালে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের  মাধ্যমে চররাজিবপুর ও রৌমারীর জন্য " ব্রহ্মপুত্র নদীর পূর্ব পাড় নদী ভাঙ্গন রোধে "  শত কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়।

 এর মধ্যে চররাজিবপুর উপজেলার মোহনগঞ্জ ইউনিয়নে  প্রকল্প -১ ও  প্রকল্প -২ নামে ৩০ কোটি করে মোট ৬০ কোটি( প্রায়) টাকা বরাদ্দ দেয়। বেসরকারি  একটি কোম্পানি ডাম্পিং অফ ব্লক ফেলানোর মাধ্যমে নদী ভাঙ্গন রোধ করার জন্য চেষ্টা করে। 


ফলে নদী ভাঙ্গন রোধ হয় এবং মোহনগঞ্জে ইউনিয়নের নয়াচর বাজার হতে নদী অনেক দূরে চলে যায় । কিন্তু বালু খেকো কিছু কুচক্রী মহল ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্য ডাম্পিং অফ এর নিকটেই ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করছে ।

এলাকাবাসী বাধা দিলেও তা  মানছে না।প্রশাসনের সাথে আঁতাত করে সরকারি কাজে বালু  উত্তোলন হচ্ছে বলে তাদের অভিযোগ।  আবার নিকটেই ভেকু গাড়ি দ্বারা মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে। 

সরেজমিন  গিয়ে দেখা যায়, ২টি ড্রেজারের মধ্যে  চলছে। ড্রেজারের ড্রাইভার এর কাছ থেকে জানা যায়,  চালু ড্রেজারটি আওয়ামী লীগ শাহাজামালের ছেলে শামীম ও ইসহাকের ছেলে সাইদুর যৌথভাবে চালায়।

একাধিক সূত্র হতে জানা যায়, ড্রেজারের পাইপ যেখানে বসানো হয়েছে সে জমির মালিক কবির, সন্তেশ,শাহার,জুরান ব্যাপারী ও মোহনগঞ্জ আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুস সালাম তালুকদার গং । বাজার ইজারাদার বিএনপি লিটন মিয়া জানান, পুরাতন বাজার ভেঙে যাওয়ার পর দোকানদাররা রাস্তার পাশে কোন মতে দোকানঘর তুলে ব্যবসা-বাণিজ্য চালাচ্ছে।।

যার কারনে বাজার সম্প্রসারণ করা দরকার। বাজার ব্যবসায়ী সভাপতি পল্লী চিকিৎসক বিএনপি নজরুল ইসলাম বলেন ,আমরা বাজারের ব্যবসায়ী ১০০ জন ১ ০০ শতক জমি ক্রয় করেছি।সেখানে বাজার লাগাবো। এসি ল্যান্ড সার্ভে করেছে । এজন্য ড্রেজার বসিয়েছি। সরকারি কোন অনুদান আছে নাকি জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, সরকারি কোন অনুদান এখনও পাইনি।

স্থানীয় বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেন জানান, পাড়ের কাছেই ভেকু গাড়ি দিয়ে মাটি তুলে বিক্রি করে । ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করা হয় ।আমরা এলাকাবাসী বাধা দিয়েছিলাম । ভেকু গাড়ির ব্যাটারি খুলে নিয়েছিলাম কিন্তু পরিবর্তিতে রহস্য জনক ভাবে আবার চালু করে দিয়েছে। 

নাম প্রকাশে একাধিক সূত্র মতে, ড্রেজার এবং ভেকু দিয়ে এর আগেও ২০ লক্ষ টাকারো অধিক বালু বিক্রি করেছে । নতুন নতুন বাড়ি ঘর বেঁধে দিয়েছে ।সরকারি কাজের দোহাই দিয়ে তারা নিজেরা লাভবান হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে নদী আবার কাছে আসবে। ভেঙে যাবে এলাকার বসতবাড়ি। এলাকাবাসী সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন যাতে ড্রেজার এবং বালু ব্যবসা বন্ধ হয়।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফজলে এলাহী জানান, তদন্ত করে ব্যাবস্থা নিব।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে