রাজিবপুরে ইউএনওর হস্তক্ষেপে বন্ধ হলো বালু উত্তোলন

এফএনএস (মোঃ আতাউর রহমান; চররাজিবপুর, কুড়িগ্রাম) : | প্রকাশ: ১৮ আগস্ট, ২০২৫, ১১:৪৭ এএম
রাজিবপুরে ইউএনওর হস্তক্ষেপে বন্ধ হলো বালু উত্তোলন

ফেয়ার নিউজ ২৪ ডটকম ও অন্যান্য পত্র পত্রিকায় খবর প্রকাশ হওয়ার পরই বন্ধ হলো মোহনগঞ্জে বালু উত্তোলন। রোববার ৩ ঘন্টা ব্যাপী অভিযান চালিয়ে বালু উত্তোলনের ড্রেজার মেশিন  ২ টি উঠিয়ে নিয়ে যায় বালু খেকোরা।

উল্লেখ্য   এলাকাবাসীর অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে  স্থানীয় একটি মহল ইউনিয়ন রক্ষা ব্লক কার্পেটের নিকটেই ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করছিলো। 

কুড়িগ্রাম জেলার চররাজিবপুর  উপজেলার মোহনগঞ্জ ইউনিয়নের নয়াচর বাজারের পশ্চিমে ব্রহ্মপুত্রের করাল গ্রাসে নয়াচর পুরাতন বাজারটি দেবে গিয়েছিল। 

  সরকার ২০২০ সালে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের  মাধ্যমে চর রাজিবপুর ও রৌমারীর জন্য " ব্রহ্মপুত্র নদীর পূর্ব পাড় নদী ভাঙ্গন রোধে "  শত কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়।

 এর মধ্যে চর রাজিবপুর উপজেলার মোহনগঞ্জ ইউনিয়নে  প্রকল্প -১ ও  প্রকল্প -২ নামে ৩০ কোটি করে মোট ৬০ কোটি( প্রায়) টাকা বরাদ্দ পায়। বেসরকারি  একটি কোম্পানি ডাম্পিং অফ ব্লক ফেলানোর মাধ্যমে নদী ভাঙ্গন রোধ  করে। 

ফলে নদী ভাঙ্গন রোধ হয় এবং মোহনগঞ্জে ইউনিয়নের নয়াচর বাজার হতে নদী অনেক দূরে চলে যায়। কিন্তু বালু খেকো কিছু কুচক্রী মহল ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্য ডাম্পিং অফ এর নিকটেই ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করছিলো।

১৫ আগস্ট সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জমির মালিক কবির, সাহার, জুরান ব্যাপারী, মজিদ নাইয়া,দুদু  ও সিদ্দিক দফাদারের সহযোগিতায়  ২টি ড্রেজার দিয়ে ফ্যাসিষ্ট আওয়ামীলীগের দোসর শাহাজামালের ছেলে শামীম ও ইসহাকের ছেলে সাইদুর যৌথভাবে দীর্ঘ দিন ধরে ড্রেজার দিয়ে বালুর ব্যবসা করে যাচ্ছিল। 

এ ব্যাপারে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় খবর প্রকাশিত হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফজলে এলাহী মহোদয় রোববার  দুপুরের পর উক্ত স্থান পরিদর্শন করেন এবং ড্রেজার দুটি খুলে দূরে সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করেন। তিনি জনগণের উদ্দেশ্যে বলেন, প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে যাতে কেউ স্বার্থ হাসিল না করতে পারে সে ব্যবস্থা করা হবে। এখানে ড্রেজার মেশিন দিয়ে কোন মাটিকাটা চলবে না।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে