চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণে উপজেলা পর্যায়ে গ্রাম আদালত বিষয়ক কর্মশালা গতকাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। কর্মশালায় গ্রাম আদালতের কার্যক্রম বাস্তবায়নে করণীয় ও উত্তরণের লক্ষ্যে আলোকপাত করেন প্রকল্পের জেলা ব্যবস্থাপক সাজেদুল আনোয়ার ভূঁইয়া এছাড়াও জুলাই ২০২৪ থেকে জুলাই ২০২৫ পর্যন্ত গ্রাম আদালতের সচিত্র অবস্থা তুলে ধরা হয়।গ্রাম আদালতের এখতিয়ার, গ্রাম আদালত সম্পর্কে জনসাধারণকে অবহিত করা,নারী এবং পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর প্রতি সংবেদনশীল হয়ে তাদের সুবিচার বৃদ্ধি করা।,গ্রাম আদালতের মামলার ফিস, ছোটখাট বিরোধে জনসাধারণকে গ্রাম আদালতের মাধ্যমে সুবিচার নিশ্চিত করার বিষয় ও প্রকল্পের লক্ষ্য উদ্দেশ্য সহ এই কর্মশালা বাস্তবায়ন করা হয়। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন ও ইউএনডিপি বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (৩য় পর্যায় ) প্রকল্প এর আওতায় এ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। স্থানীয় ছোট খাটো দেওয়ানী ও ফোজদারি বিরোধ ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে নিস্পত্তির লক্ষ্যে সরকার ২০০৬ সালে গ্রাম আদালত আইন প্রণয়ণ করেন । ২০১৩ সালে এ আইনটি সংশোধন করা হয় এবং ২০১৬ সালে গ্রাম আদালত বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। আইন ও বিধিমালা অনুযায়ী গ্রামীণ ছোট খাট দেওয়ানী ও ফৌজদারী বিরোধ বিবাদ স্থানীয় ভাবে নিস্পত্তির অন্যতম বিচারিক কাঠামো গ্রাম আদালত। গ্রাম আদালতের সেবা প্রার্থীদের বিশেষত নারী এবং পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর প্রতি সংবেদনশীল হয়ে তাদের সুবিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে গ্রাম পুলিশদের ভূমিকা রয়েছে। এছাড়াও সমন বিতরণ এজলাস কক্ষের নিরাপত্তা, বিচারক ও বিচার প্রার্থীদের নিরাপত্তা বিধানে সহায়ক ভূমিকা পালন করেন গ্রাম পুলিশগণ। আদালতে প্রতিটি মামলার বিচারিক প্রক্রিয়ার শুরু হতে নিস্পত্তি পর্যন্ত প্রতিটি ধাপের জন্য গ্রাম আদালত বিধিমালা ২০১৬ অনুযায়ী ফরমস ও রেজিস্টার এর মাধ্যমে যথাযথ প্রক্রিয়ায় নথিপত্র প্রস্তুত ও সংরক্ষণ করা আবশ্যক । স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন বাংলাদেশে গ্রাম আদলত সক্রিয় করণ (তৃতীয় পর্যায় ) প্রকল্প বাস্তবায়ন সহযোগি সংস্থা হিসেবে কাজ করছে ইপসা (ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল এ্যাকশন। বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয় করণ ৩য় পর্যায় প্রকল্প কর্তৃক আয়োজিত আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহি অফিসার মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মুমিন, হাটহাজারী মডেল থানা সেকেন্ড অফিসার, মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, সাংবাদিক কেশব কুমার বড়ুয়া,। এছাড়া ও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশে গ্রাম আদলত সক্রিয় করণ (তৃতীয় পর্যায় ) প্রকল্প ও সহযোগী সংস্থা ইপসা এর জেলা ব্যাবস্থাপক সাজেদুল আনোয়ার ভূঁইয়া, হাটহাজারী উপজেলার গ্রাম আদালত সমন্বয়কারী মোহাম্মদ বাদশা আলম । ওয়ার্কশপে হাটহাজারী উপজেলাধীন ১৪টি ইউনিয়নের, প্যানেল চেয়ারম্যান, প্রশাসনিক কর্মকর্তাবৃন্দ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহ মোট ৩৭ জন উপস্থিত ছিলেন।